University of Liberal Arts has a club called CinemaScope, I have been involved in various activities with CinemaScope. In the beginning of my university I used to give movie reviews through Cinemascope.
University of Liberal Arts has a club called CinemaScope, I have been involved in various activities with CinemaScope. In the beginning of my university I used to give movie reviews through Cinemascope.
২০০৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি সিনেমা, এখানে দেখানো হয়েছে, ১৯৭১- এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহ, যুদ্ধের আগুন যখন ছরিয়ে পরেছে বাংলার ঘরে ঘরে, পলায়নয়ত একদল সাধারণ মানুষ আশ্রয় নেয় একটি নৌকায়, একটা একটা করে দিন যেতে যেতে, এই নৌকা হয়ে উঠে তাদের কাছে একটা খুপরি ঘরের মতন,তাদের মধ্যে রাগ খোব থেকে জন্ম নেই এক ধরনের সাহসীকতা,যার মধ্যে দিয়ে তাঁরা সিদ্ধান্ত নেই তারা ও যুদ্ধ করবে, পালিয়ে না যুদ্ধ করে মরবে তাঁরা.
ছবি তে কিছু কথা খুবই ভালো লেগেছে 👉নিজের জানের হুস রাখলাম খালি,আমার দুধের পোলাডারে কার পায়ের নিচে ফেলাই আসলাম গো। 👉নৌকতে অংশু নামের ৪ বছর এর এক বাচ্চার প্রস্ন, তোমরা কি খাচ্ছো, ওরা উওরে বললো, এইটা সিগারেট, অংশু বললো সিগারেট খেলে কি হয়? ওরা বললো খিদা লাগে না,বাচ্চা টা বললো তাহলে আমাকে ও একটু দাও আমার অনেক খিদা লাগছে। 👉জানিনা এই সিঁদুর রাখবো না মুছবো। আরো এমন অনেক কিছুই আছে যা ভালো লেগেছে। তার মধ্যে একটা ডায়লগ ছিলো তা আমার মনে একটু বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। 👉ওই নৌকায় একজন প্রেগন্যান্ট চরিএের মহিলা ছিলো, এবং তার স্বামি,এবং সে তার বৌ কে বলছিলো কষ্ট হচ্ছে বৌ?চিন্তা নাই আল্লাহ তোর পোলারে দেখবো। বৌ বললো আমার পোলা হয়বো নাকি মাইয়া হয়বো তা বুঝলেন কেমনে? তখন তিনি বললো আল্লাহ আমারে খুব ভালোবাসে তাই আমাদের পোলাই হবে🙄 যায় হোক, সব মিলে ছবিটা আমার কাছে ভালো লেগেছে। বাংলাদেশের বিখ্যাত সম্পাদক, কাহিনীকার ও চলচ্চিত্র পরিচালক আমজাদ হোসেনের কাহিনী নিয়ে সংলাপ, চিত্রনাট্য পরিচালনা করেছেন - তৌকির আহমেদ প্রযোজক- তৌকির আহমেদ। ছবিটিতে যারা অভিনয় করেছেন 👉বিপাশা হায়াত, 👉আজিজুল হাকিম 👉মাহফুজ আহমেদ 👉হুমায়ুন ফরীদি 👉তারিক আনাম খান 👉আবুল হায়াত 👉মেহবুবা মাহনূর চাঁদনী। আরো অনেক চরিত্র অভিনয় করছেন, কিন্তু সবার নাম জানা নাই, মুলত এই চরিত্র গুলোই প্রথম চরিত্রোর ভুমিকায় অভিনয় করছে। কেউ ছবিটি দেখে থাকলে কথা বলুন কমেন্টে
২০১৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বাংলাদেশী চলচ্চিত্র। মৌলিক’ ও ‘সাইপ্রাস’ নামক দুটি গল্প অবলম্বনে চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য করেছেন শাহাদুজ্জামান ও নূর ইমরান মিঠু। এই ছবিটা পুরোটাই একটু আলাদা, কারন ছবিটির পুরো শুটিং হয়েছে একটা লঞ্চে। এবং, ছবিটির বিশেষ দিক হলো দেশের যে অবস্থা তা কিছু টা তুলে ধরতে চেয়েছে, রানা প্লাজা দুর্ঘটনার কথা আমাদের সবারই মনে আছে, এখানেও তাই দেখানো হয়েছে, তৌকীর আহমেদ (আতিক চরিত্রে) যিনি অভিনয় করেছেন সেই ভদ্রলোক হচ্ছে একটা গার্মেনট এর মালিক, এবং রানা প্লাজার মতন একই ভাবে তার গার্মেনট এর দূর্ঘটনা হয়, এবং তাতে হাজার হাজার সাধারণ মানুষ এর প্রান দিতে হয়,আর এই সব কিছু চিন্তা না করেই আতিক সাহেব পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে, আর একই লঞ্চে দেখা হয়ে যায় তার এক মৃত কর্মচারির লাশ, যা কিনা তার স্বামীর গ্রামে নিয়ে যাচ্ছিলো, এবং একই লঞ্চে দেখা হয় মোশাররফ করিম ডমিনিক গোমেজ আবু রায়হান রাসেল সেওতি জয় রাজ,সামিয়া সাইদ তার মধ্যে মোশাররফ করিম এর চরিত্র থাকে, সে লঞ্চেই থাকে, ধাদার বই বিক্রি করে এবং অথিতিদের দেখ ভাল করা।এক কথাই ধান্দাবাজ🙄 আতিক সাহেব যতই পালিয়ে বাচার চেষ্টা করুক না কেনো, কিন্ত সে নিজের কাছেই হেরে যেতে শুরু করে, লঞ্চে তাদের যাএা যে সময়ে শেষ হওয়ার কথা থাকে, সেই সময়ের চেয়ে বেশি সময় লাগার কারনে, লাশ টা পঁচতে শুরু করে, এবং পুরো লঞ্চে গন্ধ ছড়িয়ে যায়।(এ যেনো এক লাশের গন্ধ না এ যেনো লঞ্চে পালিয়ে থাকা আতিক সাহেব এর পাপের গন্ধ)
👉ছবিটার ভালো লাগার জায়গা যখন সবার নিজেদের খাবার শেষ হয়ে যায়, এবং লঞ্চে খাবার দেয়া হয়, তখন আতিক সাহেব ও খিদা সজ্জ করতে না পেরে খাবার আনতে যায়, এবং সেখানে লাইনে না দাড়িয়ে সে খাবার নেয়ার চেষ্টা করে, কিন্তু তাকে খাবার দেয়া হয় না,সেই সময় মোশাররফ করিম তা দেখে, আতিক সাহেব কে তার রুমে নিয়ে যায় এবং সেই রুমের তার মৃত কর্মচারীর স্বামী ও বসা থাকে, আর পাশেই থাকে সেই মহিলা কর্মচারীর লাশ, যখন আতিক সাহেব তার পাশে যেয়ে বসে, আর মোশাররফ করিম খাবার এনে দেয়,এবং আতিক সাহেব খাবারটা খাওয়া শুরু করে কিন্তু লাশের গন্ধে কিছুতেই খেতে পারে না,তখন তার পাশে বসা মৃত কমর্চারীর স্বামী তাকে তার প্লেট থেকে মরিচ টা নিয়ে আতিক সাহেবের হাতে দিয়ে বলে, মরিচ টা ভেঙে খান মুখে রুচি আসবে। ঠিক তখনই আতিক সাহেব বাইরে চলে যায়, এবং বমি করে,হয়তবা লাশের গন্ধের কারনে সে বমিটা করে না,তার হজম না হওয়া পাপের জন্য এই অবস্থা তার। 👉সে হয়ত এই সমাজের কাছ থেকে পালিয়ে বাঁচতে পারবে নিশ্চয়, কিন্তু নিজের কাছ থেকে কখনো বাঁচতে পারবে না, নিজের মনুষ্যত্বের কাছে সে ঠিকি হেরে গেছে। পরিচালক-নূর ইমরান মিঠু প্রযোজক-ফরিদুর রেজা সাগর 👉অভিনয় নিয়ে কথা বললে বলবো মোশাররফ করিম এর অভিনয় ছিলো দেখার মতন, সে যে কোন অভিনয় এর মধ্যে ছিলো তা একবারো মনে হয় নাই। 👉তৌকির আহমেদ এর অভিনয় ও ভালো লাগছে। 👉বাকিরা সবাই ভালো করার চেষ্টা করেছে।
গেরিলা ২০১১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি ছবি, যেখানে দেখানো হয়েছে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের অবস্থা, দেখানো হয়েছে কিছু শিক্ষিত-সংস্কৃতিমনা-বলিষ্ঠ চিত্তের অধিকারী কিছু নাড়ি যারা কিনা তাদের পরিবার এর কোন না কোন সদস্য হারিয়েছে,তার মধ্যে বিলকিস (জয়া আহসান) এই গল্পের মূল চরিত্র,তার স্বামী, একজন সাংবাদিক হাসান , ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে নিখোঁজ হন। এবং তখন থেকেই বিলকিস এর জীবন যাএা শুরু তার স্বামীকে খোজার পাশাপাশি, সে বিভিন্ন ভাবে মুক্তিবাহিনীদের সাথে জরিয়ে পরে, তার মুল কাজ ছিলো মুক্তিযোদ্ধা ভিত্তিক যত গান, কবিতা, বেতার কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া, তার সাথে আরো অনেক মেয়ে কাজে লিপ্ত থাকেন। ভালো লাগার জায়গায় ওই ছবিতে জয়া আহসান খুব সাবলীল অভিনয় করার চেষ্টা করেছে,ছবির শেষ এর দিক টা যখন জয়া আটকা পরে যায়, মাছ এর গোডাউন ঘড়ে এবং সে পানির জন্য ছটপট করে, সিরাজ নামের একটা ছেলে খোকন বাহিনীর ছেলে বিলকিসের যাত্রাসঙ্গী হয়, এবং সে তার জন্য পানি আনতে যায়, এবং এসে দেখে বিলকিস মাটিতে পরে আছে, এই পুরো সময় টা যেনো একটা নিশ্বাস বন্ধ হওয়ার মতন মুহূর্ত যা দেখতে যেয়ে অনুভব করা যায়, তখন কার অবস্থা। সব থেকে স্পর্শকাতর লেগেছে, একদম শেষের সিন যেখানে কিনা বিলকিস দেখিয়েছে একজন নারীর সাহসীকতা এবং নাড়ীরা ও অনেক বেশি ভুমিকা রেখেছিলো দেশকে শাধিন করার খেত্রে, শেষ পর্যন্ত বীরের মতো আত্নাহুতি দেয় বিলকিস। নিজের সাথে উড়িয়ে দেয় একটি গোটা মিলিটারী ক্যাম্প। যা কিনা সব সময় ভাবাবে সব নাড়ী পুরুষ কে।।
ধন্যবাদ ডিরেক্টর - নাসির উদ্দীন ইউসুফ স্যার ২০১১ সালের ছবি তে ও এত সুন্দর ভাবে মুক্তিযোদ্ধা কালীন সময় এর অবস্থান তুলে ধরেছেন,যা কিনা একদমই অন্য রকম ভালো লেগেছে আমার কাছে। যদি ছবিটা কেউ দেখে থাকেন তবে আলোচনা করতে পারেন কমেন্টে।
রাজাকার-বল পাকিস্তান জিন্দাবাদ রাশেদ -জয় বাংলা। রাজাকার -বল পাকিস্তান জিন্দাবাদ। রাশেদ -জয় বাংলা। রাজাকার - গুলি ছুরলো রাশেদের পায়ে। বল পাকিস্তান জিন্দাবাদ। রাশেদ - জয় বাংলা, আমার চোখ টা একটু খুলে দেন, আচ্ছা এখন রাত না দিন, আমি একটু দেখতে চাই,আমার চোখ টা একটু খুলে দিন। রাজাকার -কলেমা পড়, আরো একটা গুলি ঠিক রাশেদ এর বুকে। রাশেদ - পরে গেলো মাটি কাদা তে। আমি আসোলে জানি না এই ছবি নিয়ে কিভাবে কথা বলতে হয়, ২০১১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বাংলাদেশী যুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র। ছবি -আমার বন্ধু রাশেদ।
এমন ছবি আবার দেখতে চাই, খুব কাছে থেকে জানতে চায় ওদের কথা,ছবি টা দেখে মনে হচ্ছিল যেনো আমি এই দেশের জন্য যুদ্ধ করছি,যেনো গুলিটা ঠিক আমার বুকে লাগলো। এমন ছবি আবার ও দেখতে চাই, ১৯৭১ সালে মফস্বল শহরের কয়েকজন কিশোর কীভাবে মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে, তারই কিছু চিত্র ফুঁটে তোলা হয়েছে। আমি আসলে জানি না কিশোর ছেলে গুলো কিভাবে এত প্রানবন্ত অভিনয় করেছে। ছবি টা দেখতে দেখতে আমার একবার ও মনে হয় নাই যে একটু টেনে দি বা বাকি অংশ পরে দেখবো, পুরো ছবিটা আমি একবারেই দেখে শেষ করেছি। সব মিলে এমন ছবি বার বার দেখতে চাই, এমন ছবি এখন কার তরুণ প্রজন্মকে অবশ্যই ভাবাবে। যদি কেউ এই ছবি দেখে থাকেন তাহলে কমেন্ট করে আপনার মতামত ও জানাতে পারেন। ধন্যবাদ ডিরেক্টর (মোরশেদুল ইসলাম )...স্যার ধন্যবাদ প্রযোজক (ফরিদুর রেজা সাগর) স্যার যদি বানান বা লেখাতে কিছু ভুল করে থাকি সবাই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
👉১৯৭৩ সালের বাংলাদেশী নাট্যধর্মী চলচ্চিত্র তিতাস একটি নদীর নাম, যা শুধু একটা চলচ্চিত্র না এই চলচ্চিত্রে আছে প্রচুর নাটকীয় উপাদান, আছে দর্শনধারী ঘটনাবলী, আছে শ্রোতব্য বহু প্রাচীন সঙ্গীতের টুকরো, আছে বহু আনন্দ দুঃখের ছোঁয়া, একটা নদী নিয়ে চলচ্চিত্রটি হলেও, এই চলচ্চিত্রে দেখানো চেষ্টা ছিল পুরো একটি গ্রামিনজীবন, দেখানো হয়েছে সাধারণ মানুষের জীবনযাএা, দেখানো হয়েছে প্রতিটা মানুষের জীবন ধারার গতি,দেখানো হয়েছে কুসংস্কার, দেখানো হয়েছে তাদের সহজ সরল জীবন যাপন। এই সব কিছু শুধু তিতাস পারের জন্য, কারন তিতাস এর বুকে ভেসে ভেসে মাছ ধরে তাদের জীবিকা নির্বাহ করতো, যত শক্তি ছিলো সবি যেনো তিতাস কে ঘিরে। 👉 সংক্ষেপে ঘটনাবলী তিতাস পাড়ের গ্রামে একবার দোলের সময় মারামারি সৃষ্টি হয়,আর সেই মারামারিতে এক রাজার ঝি অজ্ঞান হয়ে যায়,আর রাজার ঝি কে এক কিশোর রক্ষা করে, এতে মোড়ল খুশি হয়ে তাদের দুইজনের বিয়ে দিয়ে দেয়, তার পরের দিন সাহসী কিশোর তার বউ কে তার নিজ গ্রামে নিয়ে যাওয়ার সময় নৌকা থেকে রাতে কিশোর এর বৌ চুড়ি করে ডাকাত দল,কিন্তু কিশোরের বউ ডাকাত দল এর কাছ থেকে বাঁচতে নদীতে লাফ দেয়, এবং রাতের অন্ধকারে কিশোর তার বৌ কে আর খুঁজে পাই না,তার পরে কিশোর পাগল হয়ে যায়🙄 রাজার ঝি তার স্বামীর নাম জানে না, তার কিছুই সে জানে না,শুধু তার গ্রামের নামটা মনে আছে🙄 বাসন্তী নামে আরো একটা চরিত্র থাকে,এবং তারো বিয়ে হয় সুবল এর সাথে, কিন্তু বিয়ের পরপরই ঝড়ের রাতে নৌকায় কাজ করতে গিয়ে মারা যায় সুবল, বিধবা হয় সুবলের বৌ বাসন্তী। দশ বছর পর কিশোরের বউ তার ছেলে অনন্তকে নিয়ে তার গ্রামে ফিরে আসে। কিন্তু কিশোর তাকে চিনতে পারে না।আর তার বৌ ও তার পরিচয় গোপন রাখে কারন যদি তার সন্তান কে নিয়ে কিছু বলে ডাকাত ধরছিলো এমন বৌ কিশোরের খতির কারন হতে পারে, তাই সে তার পরিচয় গোপন রাখে,কিন্তু গ্রামে তাকে কেউ সাহায্য করতে চাই না, পরে বাসন্তী তাকে সাহায্যের হাত বাড়ায় তাকে অন্ন বস্ত্রাদি দিয়ে থাকে। এবং একটা সময় পরে কিশোর তার বৌ কে চিন্তে পারে, কিন্ত তার পরেই তার স্ত্রী মারা যায়। এতিম হয়ে পরে তাদের সন্তান অনন্ত অনন্তর সব দায়িত্ব বাসন্তী নিতে চাইলেও নিতে পারে না কারন তাদেরি নুন আনতে পান্তা ফুরোই।তাই আশ্রয়হীন বালক অনন্তের আশ্রয় হয় নিঃসন্তান উদয়তারার কাছে সে তাকে শহরে নিয়ে যায়,এভাবেই চলে যায় অনেক দিন।
দিন যেতে যেতে তিতাস নদীর বুক জুড়ে জেগে উঠে বিশাল চর সেই চর দখল করতে যায় মালোরা আর জেলেরা, হয় বিশাল মারামারি, শেষ হয়ে যায় সব কিছু, শেষ সিনে বাসন্তী পানির জন্য চরে যেয়ে বালি খুঁড়ে খুঁড়ে পানি বের করে পানি পান করে এবং বালিতে লুটিয়ে পরে,সে কিছুখন পরে চোখ খুলে দেখে সবুজ মাঠ জুড়ে ধান গাছ, একটা বাচ্চা ছেলে দৌড়ে দৌড়ে বেড়াচ্ছে, এবং দৌড়ে চলে যাচ্ছে, এটা দেখে বাসন্তীর কপালে পড়ে ভাঁজ। পরিচালক-ঋত্বিক ঘটক প্রযোজক-হাবিবুর রহমান খান অভিনয়ে যারা ছিলেন 👉 ঋত্বিক ঘটক - তিলকচাঁদ 👉প্রবীর মিত্র - কিশোর 👉রোজী সামাদ - বাসন্তী 👉কবরী সারোয়ার - রাজার ঝি 👉গোলাম মুস্তাফা - রামপ্রসাদ এবং কাদের মিয়া 👉ফখরুল হাসান বৈরাগী - নিবারণ 👉রওশন জামিল - মা 👉শফিকুল ইসলাম - অনন্ত অভিনয়ে ছিলো আরো অনেকে সবার নাম জানা নাই।
১৯৭২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বাংলাদেশী চলচ্চিত। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে স্বাধীনতার ডাক দেন, এই ছবিতে তার কিছু অংশ পেলাম। যেহেতু ১৯৭২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত তাই ছবিটি ছিলো সাদাকালো, এবং আমার জানা মতে এই ছবি, ১৯৭১ এ মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের পটভূমিতে নির্মিত, স্বাধীনতাত্তোর প্রথম ছবি। এবং এই ছবি দেখে আসলে ও বোঝা যায় যে কত কত কিছুর বিনিময়ে আমরা আমাদের স্বাধীনতা পেয়েছি, এবং তা আমরা নষ্ট ও করছি। আমার কাছে সব থেকে স্পর্শকাতর লেগেছে যখণ একজন মেয়ে তার বাবা কে হত্যা করে মুক্তিবাহিনিকে বাঁচানোর জন্য। আরো অনেক চরিত্র ছিলো যে চরিত্র গুলো খুব ভালো ভাবে ফুটিয়ে তুলতে চেষ্টা করেছেন, যে তারা কত ত্যাগ এর বিনিময়ে এই দেশ স্বাধীন করছে,এবং এর মধ্যে কিছু চরিএ খুব ভালো অভিনয় করছেন, যেমন
খসরু, মুরাদ, হেলাল ও নান্টু। এছাড়াও ছবিতে আরো কিছু চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাজ্জাক শাবানা নূতন, হাসান ইমাম, আলতাফ, আরো অনেকে। তবে রাজ্জাক এর অভিনয় ছিলো শুরুতে আর শেষে তাই তাকে নিয়ে তেমন কিছু বলার নাই, তবে তার চরিএ টা ও ছিলো সাহসি কারন সে একজন অসহায় মেয়ের দায়িত্ব নেই। ১৯৭২ সালের ছবিও যে এত ভালো হবে ভাবা যায় না। আমার কিছু কিছু সিন দেখে মনে হয়েছে যেনো বাস্তব সিন গুলোই তুলে ধরেছেন তারা।এবং মনে হয়েছে যে যুদ্ধ টাই যেনো আমি দেখছি,এটা কোন সিনেমা নয়। এই ছবিতে খসরুর চরিত্র টা খুবই সাহসী চরিত্র ছিলো যা আমার খুব ভালো মনে হয়েছে। 👉পরিচালনা করেছেন বিখ্যাত পরিচালক -চাষী নজরুল ইসলাম স্যার। 👉প্রযোজক- মাসুদ পারভেজ স্যার 👉সময় এর অভাবে এত রাতে ছবি নিয়ে আলোচনা করতে হচ্ছে সবার কাছে আমি দুঃখিত।
একাত্তরের যীশু 👉প্রথমে বলে রাখি আমি মুক্তিযোদ্ধা ভিত্তিক যত চলচ্চিত্র দেখছি, আমার মনে ততই বিতর্কের সৃষ্টি হচ্ছে, এক-একটা ছবি যেনো এক একটা ইতিহাস বুনে যাচ্ছে। 👉 স্বাধীনতা যুদ্ধভিত্তিক একটি বাংলাদেশী চলচ্চিত্র,একাত্তরের যীশু,১৯৯৩ সালে মুক্তি পায়। যে চলচ্চিত্রে দেখানো হয়েছে, একটি জেলেপাড়া নিয়ে,কিছু সহজ সরল গ্রামের মানুষ নিয়ে, যেখানে কিনা গ্রামের বেশিরভাগ মানুষি ছিল খ্রিস্টান।এবং গ্রামে একটা চার্চও ছিল। প্রতি রবিবার চার্চের কেয়ারটেকার ডেসমন্ড সকালে গির্জার ঘণ্টা বাজাতেন,এটা ছিলো তার ভালো লাগার মধ্যে একটা (হুমায়ুন ফরিদ) । তার ঘন্টাই যেনো ঘুম ভাঙতো সবার এবং গ্রামের সব মানুষ আসতেন সেই গির্জায়। ফাদার তাদেরকে বাইবেল থেকে যীশুর গল্প শোনাতেন,গির্জা যেনো মানুষের ভির এ গিজগিজ করতো, এবং গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন,তারা মাছ ধরে, হাটে নিয়ে যেয়ো বিক্রি করতে, হটাৎ একদিন হাটে মাছ বিক্রি করতে যেয়ে তারা দেখে হাটে মানুষ নাই,এবং কিছু গুলির শব্দ, আর একটা আওয়াজ, জয় বাংলা, জয় বাংলা।। তখন তারা বুঝলো যুদ্ধ তাদের গ্রামে ও চলে এসেছে। তাদের আর মাছ বিক্রি হলো না, জীবন নিয়ে পালিয়ে আসতে হলো। এভাবেই একদিন পুরো গ্রামে আগুন, এবং পাশের শহর থেকে কত মানুষ কত মানুষ, কারো পাঁ এ গুলি, হয়তো কারো হাত নাই, হয়তো কারো পুরো শরীর পুড়া,আর তাই জেলেপাড়ার লোকজন তাদের এক রাতের জন্য থাকার ব্যবসথা করে দিলো । বাড়ি বাড়ি থেকে চাল-ডাল নিয়ে সবার জন্য খিচুড়ি রান্না করা হলো। সবারি চিকিৎসার দরকার ছিলো তাই মাস্টার গিয়ে গির্জার ফাদারকে বললেন, গির্জায় রাখা ওষুধ দিতে। আরো বললেন, যাতে চার্চ এর সিস্টাররা যেনো অসুস্থ মানুষগুলোর চিকিৎসার করেন প্রথমে গির্জাকে তিনি এই যুদ্ধের মধ্যে জড়াতে চাননি ফাদার । কিন্তু এতো মানুষের কষ্ট সহ্য করতে না পেরে ফাদার, সিস্টারদের অনুমতি দিলেন। রাতভর সেবার পরে, সকালে তারা আবার হাটা ধরলেন, হয়ত তারা নিজেরাও জানতো না কোথায় শেষ সীমানা, যখন যুদ্ধ প্রকোপ রুপ নিতে থাকে তখন ফাদার ও চলে যায় গির্জা ছেড়ে, পড়ে থাকে শুধু ডেসমন্ড, হুমায়ুন ফরীদি মুক্তিবাহীনির সাথে যোগ দেয় কারন মাষ্টার তো অনেক আগেই যুদ্ধে চলে গেছেন। তাঁর বাহিনীর কয়েকটা ছেলের একটা নিরাপদ থাকার জায়গা দরকার ছিলো, আর তাই মাস্টার ওদের একটা দলকে পাঠিয়ে দিলেন ডেসমন্ড এর কাছে।এইভাবেই তিনি তাদের সাহায্য করে। আমার শেষ এর সিন টা দেখে মনে হয়েছে, কি ভাবে মানুষ হয়ে মানুষের উপর এমন নির্মমতা করতে পারে, যখন মুক্তি বাহিনী ধরা পরে যায় পাকিস্তান বাহিনীর কাছে তখন গির্জার সামনে রাখা যীশুর ক্রুশবিদ্ধ মূর্তি দেখে ঠিক একি ভাবে ক্রুশবিদ্ধ করে ওদের মাঠের মধ্যে টানিয়ে দেয়। তাড়া চিৎকার করতে থাকে আর চিৎকার করতে থাকে, মনে হচ্ছিল যেনো আমার হাত দুটি কে ক্রুশবিদ্ধ করে টানিয়ে রেখেছে। পরিচালক -নাসির উদ্দিন ইউসুফ প্রযোজক-অনুপম চিত্রয়ন ট্রাস্ট অভিনয় হুমায়ুন ফরীদি পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায় জহির উদ্দিন পিয়াল কামাল বায়েজীদ আবুল খায়ের আনওয়ার ফারুক ইউসুফ খসরু আরো অনেকে একাত্তরের যীশু লেখক শাহরিয়ার কবির-এর লেখা একাত্তরের যীশু উপন্যাস থেকে ছবিটি বানানো হয়েছে।
রবিবার যা একটি ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্র,যেখানে পুরো ১১৮ মিনিট ধরে বোঝানো হয়েছে একজন জালিয়াত কত বড় জালিয়াত হতে পারে,🙄🙄এবং ছবি মধ্যে থাকে প্রেম মানে ১৫ বছর আগের প্রেম হটাৎ দেখা, এবং তার পরে জালিয়াতির গল্প। 👉বির্তক হলে গিয়ে ছবিটা দেখেছি যেহেতু প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও জয়া আহসান এর প্রথম ছবি, ভেবেছিলাম গল্প টা ভালো হবে, তবে খারাপ বলছি না,আমি হয়তো একটু বেশি আশা রেখেছিলাম,এটা একদমি আমার মতামত,অনেকের কাছেই ভালো লেগেছে,কিন্তু আমার মনে হয়েছে আরো অনেক জায়গায় ছিলো। জয়া আহসান এর অভিনয় ছিলো দূর্দানত ও প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও ভালো অভিনয় করেছেন, শুধু গল্প টা ভালো হতে পারতো। পরিচালক-অতনু ঘোষ
👉তুলনামূলক ভাবে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক বাংলাদেশে বেশ কিছু সিনেমা নির্মিত হলেও, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন নিয়ে সিনেমা তেমন একটা দেখা যায় না, মুক্তিযুদ্ধের সিনেমার তুলনায় কম আছে। এই ছবি তে মুলত দেখানো হয়েছে বায়ান্ন’র ভাষা আন্দোলন,যেভাবে একটা জাতির উপর জোর পূর্বক আর একটা ভাষা চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল।এখানে দেখানো হয়েছে বায়ান্নর সময় কিভাবে জোরপূর্বক অসহায় মানুষদের উপর নির্মমতা করা হয়েছে, বিশেষ করে হিন্দুদের উপর যে জুলুম করা হয়েছে, এবং তাদের নিজেদের বাড়ি ঘড় রেখে অন্য দেশে চলে যেতে হয়েছে,ইতিহাসের বায়ান্ন’র যে জঘন্য জুলুম বাংলার মাুনষের উপর করা হয়েছে তার কিছুটা রেশ পাওয়া যায় ফাগুন হাওয়ায় মধ্যে। ছবিতে আরো যা যা দেখানো হয় তার মধ্যে কিছু সিন। 👉সবাইকে বাধ্যতামূলক উর্দুতে কথা বলানো সময়, থানার কর্মচারীদের কে উর্দু শেখানোর জন্য মাওলানা রাখা হয়। 👉দোকানের নাম পরিবর্তন করে উর্দুতে নাম করন করা হয় 👉 এ সিনেমায় অন্যতম শক্তিশালী মেটাফোরিক সংলাপ হচ্ছে বউ কথা কও পাখি কেন উর্দুতে ডাকে না কেন বলে না ‘বিবি, বাত কারিয়ে’? তাদের ধারনা পাখি যা ডাকে তা বাংলা ভাষা, সবাই কে উর্দূ শিখাতে পারলেও পাখিকে কিভাবে উর্দূ শিখাবে এমনকি পাকিস্তানি অফিসারের দুঃস্বপ্নেও বউ কথা কও বাংলায় ডেকে যায়।
বির্তক শুধু দেখতে সুন্দর আর অন্য এক ছবিতে সে ভালো অভিনয় করছে তাই এই ছবিতেও ভালো অভিনয় করতে পারবে, এই ধারনা থেকে যে কবে বের হবো আমরা জানি না, 👉যেহেতু বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন তাই আরো অনেক কিছু দেখানো উচিত ছিলো বা দেখার ব্যাপার ছিলো,বা তাড়া যা দেখাতে চেয়েছেন তা ঠিক মতন ফুটিয়ে তুলতে পারে নাই। 👉ছবিতে নতুনত্ব কিছু ছিলো না। 👉সিয়াম, তিশার অভিনয় ভালো ছিলো না। 👉বলিউড অভিনেতা যশপাল শর্মার অভিনয় ছিলো দেখার মতন, এত সাবলীল অভিনয়, তার কাছে সিয়াম, তিশার অভিনয় ম্লান মনে হচ্ছিল। টিটো রহমানের ছোট গল্প ‘বউ কথা কও’ অবলম্বনে ছবিটি নির্মিত। পরিচালক-তৌকীর আহমেদ প্রযোজক-ফরিদুর রেজা সাগর,ইবনে হাসান খান অভিনয়ে যারা ছিলেন 👉যশপাল শর্মা 👉নুসরাত ইমরোজ তিশা 👉সিয়াম আহমেদ 👉আবুল হায়াত 👉শহীদুল আলম সাচ্চু 👉ফজলুর রহমান বাবু
এক মায়ের সত্য ঘটনা অবলম্বনে১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়কালের যশোরের সেলিনা হোসেন এই উপন্যাসটি রচনা করেন। ১৯৭২ সালে ঘটনাটি তিনি লিখেন এবং সমকালীন টেরেডাকটিল নামে তরুণদের একটি পত্রিকায় গল্পটি ছাপা হয়। এর পরে সময়কাল ১৯৭৪ সালে গল্পটিকে উপন্যাসে আকার দেন এবং ১৯৭৬ সালে উপন্যাসটি প্রোকাশিত হয়,যা,কিনা পরবর্তীকালে এই উপন্যাস অবলম্বনে চলচ্চিত্রে রুপ দেয়া হয়।।এবং ১৯৯৭সালে চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়। দুরন্ত কিশোরী বুড়ি হলদিগাঁ গ্রামের এক ছুটন্ত মেয়ে, যেখান থেকে তার জীবন,কম বয়সেই বিয়ে হয় তার থেকে বয়সে অনেক বড় বিপত্নীক গফুরের সঙ্গে। গফুরের সংসারে ছিলো তার আগের স্ত্রীর রেখে যাওয়া ২ ছেলে যারা কিনা বুড়ী কে ফুপু বলে সম্মোধন করতো,বুড়ীর বয়স কম থাকায় সে অনেক কিছুই বুজতো না,কিন্তু তার আগের ঘড়ের সন্তান সলীম- কলীম থাকলেও নিজের একটা সন্তান এর খুব অভাব বোধ করে, এবং অনেক কিছুর পরে তার একটা ছেলে সন্তান হয়, যার নাম দেয়া হয় রইস, এবং আস্তে আস্তে বুড়ী বুঝতে পারে রইস বাক ও শ্রবণপ্রতিবন্ধী হিসেবে। তবে বুড়ী তার আদরের সন্তান রইস কে ২জন মুক্তিযোদ্ধা হাফেজ ও কাদের কে বাঁচতে পাকসেনার হাতে তুলে দেয় এবং দেশপ্রেমের অগ্নিপরীক্ষায় একজন মা, হার না মেনে তার নিজের সন্তানকে পাকসেনাদের বন্দুকের নলের মুখে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় , এবং তার সেই মমতা মাখা কনঠে বলতে থাকে ওরা হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিচ্ছে। ওরা হলদীগাঁর স্বাধীনতার জন্য নিজের জীবনকে উপেক্ষা করে দিয়েছে।তাই আমি একজন মা হয়ে আমারো দায়িত্ব আমার সন্তান দের বাঁচানো,এই দেশের জন্য লরা, এবং তখনি বুড়ি হয়ে যায় ইতিহাস-কন্যা। আর হলদিগাঁ হয়ে যায় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি, যা কিনা স্বাধীন বাংলার রুপ হয়ে উঠে।
👉সবার অভিনয় ছিলো দেখার মতন, এত মুগ্ধতা ছিলো অভিনয়ে যা দেখে মনে হচ্ছিল না এটা কোন ছবি,মনে হচ্ছিল যেনো আমি বাস্তবেই দেখছি, এ যেনো আমার চোখের ভুল 👉ধন্যবাদ জানাচ্ছি পরিচালক -চাষি নজরুল ইসলাম। 👉ছায়াছবিতে বুড়ি মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেন সুচরিতা।তার অভিনয় নিয়ে কিছু বলার ভাষা রাখি না। এছাড়াও বাকি চরিত্রে অভিনয় করেছেন 👉অরুনা বিশ্বাস 👉 সোহেল রানা 👉 ইমরান 👉 অন্তরা 👉দোদুল 👉 আশিক 👉আমি খুবি দুঃখীত যে এত রাতে ছবি নিয়ে আলোচনা করছি,সারাদিন সময় না পাওয়ার কারনে রাতে বিরক্ত করছি সবাইকে 😥
👉সঞ্জয় বলরাজ দত্ত হলেন ভারতের একজন জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেতা।এমন কেউ নেই হয়তো যিনি সঞ্জয় দত্ত কে চেনেন না, 👉প্রচুর কথপোকথন আছে তার ব্যাপারে, তিনি কোন সাধারণ পরিবারে জন্মগ্রহন করেন নাই, তার জন্ম অভিনয়শিল্পী দম্পতি সুনীল দত্ত ও নার্গিস দত্তের ঘড়ে। সঞ্জয় বলরাজ দত্ত এক অসাধারণ মানুষ আমার চোখে, একজন অসাধারণ ব্যাক্তিত্ব,যার অভিনয় এবং তাঁর স্টাইল মনোমুগ্ধকর করে বার-বার। 👉তার অভিষেক হয় ১৯৮১ সালে রকি চলচ্চিত্রের মাধ্যমে, শুধু তাই নয়, তিনি ১৮০-এর অধিক হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। যা প্রায় অসম্ভব, তবে সঞ্জয় বলরাজ দত্ত তা সম্ভব করেছেন অবশ্যই। 👉যদিও তিনি হাস্যরসাত্মক থেকে প্রণয়ধর্মী সব ধরনের চলচ্চিত্রই তিনি অভিনয় করছেন, এবং অভিনয় এর দিক দিয়ে প্রত্যেকটা সিনাময় তার জয়জয়কার, এবং,চলচ্চিত্রে শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয় করে সফলতা অর্জন করেছেন, তাছাড়াও গ্যাংস্টার, গুন্ডা ও পুলিশনাট্যধর্মী ও মারপিঠধর্মী এইসব চরিত্র যেনো তাঁর জন্যই সৃষ্টি, এতটাই মনোমুগ্ধকর এবং সাবলীল অভিনয় বিশেষ করে এই চরিত্রগুলোতে, ভারতীয় গণমাধ্যম ও দর্শক তাকে "ডেডলি দত্ত" বলে অভিহিত করেন। তবে এখন একটু অন্য আলোচনায় যাওয়া যাক, 👉১৯৯৩ সাল। 👉 মুম্বই শহরে বোমা হামলা হয়,মনে আছে হয়তো সবার, বলিউডের যারা এই হামলার সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন সঞ্জয় দত্ত তাদের একজন, প্রমাণিত হয় যে দত্ত মুম্বই বোমা হামলার সাথে জড়িত ছিলেন, আবু সালেম ও রিয়াজ সিদ্দিকীর যারা কিনা মুম্বই এর মাফিয়া ছিলেন, তাদের কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র এনে সঞ্জয় বলরাজ দত্ত বাড়িতে রাখেন। কিন্তু না, এটা ছিল তার বিরুদ্ধে নিছক একটা অভিযোগ। এবং তিনি তার স্বীকারোক্তিতেও বলেন, তিনি তার একটা চলচ্চিত্রের জন্য প্রযোজকের নিকট থেকে তার নিজের পরিবারের নিরাপত্তার জন্য একটি এনেছিলেন, এটা খুব সাভাবিক নিজের পরিবারের নিরাপত্তার জন্য। যদিও এত সহজে পার হোতে পারে নাই এই গুণী শিল্পী, তার বিরুদ্ধে আনা হয় আরও অনেক অভিযোগ।
👉১৯৯৩ এর এপ্রিলে সন্ত্রাসী ও সংহতি নাশমূলক কর্মকাণ্ড আইনের অধীনে তাকে গ্রেফতার করা হয়। শুরু হয় তার জীবন যুদ্ধ, জীবন কাকে বলে, এবং জীবনের প্রত্যেকটা মুহূর্ত যে মৃত্যুর যন্ত্রনার চেয়েও কিছুটা কম না যেটা বুঝতে তার বেশি দিন সময় লাগে নাই। তবে, ১৯৯৩ সালের ৫ই মে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট তার জামিন মঞ্জুর করে, কিন্তু ১৯৯৪ সালের ৪ঠা জুলাই তার জামিন বাতিল করা হয়, তাকে আবার গ্রেফতার করা হয়। এবং সেই সময় তাকে সাহায্য করতেও এগিয়ে আসেনি কেউ, কিন্তুু তার বন্ধু কমলেশ ছিলেন তার পাশে বন্ধু না বলা যায় ভাই, তবে যার সাথে মাঝে অনেক ভুল বুঝাবুঝি হওয়ার পরেও এক সময় সব ঠিক হয়ে যায়,সঞ্জয় বলরাজ দত্তের বউ তার পাশে দাঁড়ায় দেবীরুপে। 👉 ১৯৯৫ সালের ১৬ই অক্টোবর তিনি জামিনে ছাড়া পান। 👉এতখন যার ব্যাপারে এত কিছু লিখলাম, তার জীবন নিয়ে একটা চলচ্চিত্র বানানো হয়েছিলো তাকে নিয়ে, সেই সিনেমার নাম সঞ্জু। 👉২০১৮ সালের ২৯শে জুন বিশ্বব্যাপী মুক্তি পায় এই চলচ্চিত্র, ব্যাপক আলোড়ন তোলে মুক্তির পরপরই এটি সমালোচকদের থেকে সাধারণভাবে ইতিবাচক সমালোচনা পায়, শুধু তাই নয়, 👉চলচ্চিত্রটি ২০১৮ সালে ভারতে প্রথম দিনে সর্বাধিক আয়কারী চলচ্চিত্রের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয় এর আগে কোন চলচ্চিত্র এর রেকর্ড ভাংতে পারে নাই, এবং এর তৃতীয় দিনে ভারতে হিন্দি চলচ্চিত্রের জন্য এখনো পর্যন্ত সর্বোচ্চ একক দিনের সংগ্রহের তালিকায় যুক্ত হয়। যা ইতিহাসে যেনো হঠাৎ এক চমক। এই চলচ্চিত্র এখানেই শেষ না। 👉২য় স্থানে ৫৬০ কোটি আয় নিয়ে আসে সঞ্জু, বলা হয় 👉২০১৮-এর সর্বোচ্চ উপার্জিত ভারতীয় চলচ্চিত্র। যদিও অভিনয় নিয়ে মতবিরোধ আছে, 👉তবে,সঞ্জয় বলরাজ দত্তের জীবন নিয়ে লেখা এত সহজ নয়,কারন তার জীবন ছিল সহজ নয়, অনেক কঠিন সময়ের মধ্যে সে তার প্রত্যােকটা মিনিট কাটিয়েছে। যা তার জীবন কে নতুন করে উঠে দাঁড়াতে শিখিয়েছে। সর্বশেষ ২০২০ সালের আগস্টে ফুসফুসে তৃতীয় ধাপের ক্যান্সার ধরা পড়ে । সেটা নিয়েই তিনি তার নতুন চলচ্চিত্র কাজ সম্পুর্ন করেছেন, এবং আশা করছি আরও অনেক চলচ্চিত্রে তাকে আমরা পাবো। আমি একজন সঞ্জয় বলরাজ দত্ত এর হৃদয় সম্পুর্ন ভক্ত, যে কারনে তার ব্যাপারে অনেক অভিযোগ আমার কাছে তার বিরুদ্ধে নিছক অভিযোগ মনে হয়েছে, এবং আমিও রিভিউ তে তাই লিখেছি, অনেকের মতবিরোধ থাকতেই পারে।
বুলবুল ছবি আলোচনা -বুলবুল, যে নামের অর্থ নাইটিঙ্গেল (গাওয়া পাখি) তবে না এখানে কোন পাখি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে না, ২৪ জুন নেটফ্লিক্স এ মুক্তি পাওয়া বুলবুল সিনেমা নিয়ে,যা কিনা ভারতীয় হিন্দি ভাষায় নির্মিত অতিপ্রাকৃত ছবি। বুলবুল অবশ্যই একটা নারী প্রধান গল্প, যা কিনা পুরুষতান্ত্রিক সমাজে একটা ধাক্কার মতন,যার মাধ্যমে আমরা জানতে পারি একজন শিশু কিভাবে একজন সাহসী নারী হয়ে উঠে,কিভাবে একজন সাহসী নারী বেঁচে থাকে জীবনে সংগ্রাম করে, কিভাবে একজন নারীর সাহস দুঃসাহসে পরিনত হয়,কিভাবেই বা একজন নারী দেবির রুপ ধারণ করে,এবং একে একে সব রাবণের বিনাশ ঘটায়, ছোট বেলায় আমরা দাদি,নানিদের কাছ থেকে অনেক গল্প শুনেছি,ঠাকুরমার ঝুড়ি, ডাইনির কাহিনী, রাক্ষস খোক্কশের গল্প , কিন্তু কখনো কি মনে কোন প্রস্ন এসেছে,কিভাবেই বা একজন মানুষ , ডাইনি রুপ ধারন করে,কিভাবে একজন ডাইনির পা চিকন থাকে, এবং তারা বনে জঙ্গলে ঘুড়ে বেরাই।কেনো? না আমরা তা কখন ভেবে দেখি না,শুধু দেখেছি তারা মানুষ মারে,মানুষকে কষ্ট দেয়।এবং তাই আমরা তাদের নাম দিয়েছি ডাইনি।কিন্তু আমাদের সমাজে এখনো এমন অনেক মেয়ে আছে যারা কিনা সমাজ সংসার থেকে বঞ্চিত, কারন তারা মেয়ে হয়ে কেনো এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নিজের মত প্রকাশ করবে, নিজের সাধিন মতন বাঁচবে, এই নারী বাদি গল্প নিয়েই মুখ খুলেছে বুলবুল সিনেমা, যেখানে কিনা দেখানো হয়েছে ব্রিটিশ পিরিয়ডের রাজবাড়ীর নিয়ম নিতি, বাল্যবিবাহ, অন্দরমহলের রহস্য ,ডাইনিবাদ, রাজবাড়ীর প্রথা,বলা যেতে পারে সব কিছুই আছে এই ছবি তে,এবং ভৌতিক আমেজ এর রহস্যর হাতছানি দেয়া এই গল্পের প্রেক্ষাপট ১৮৮১ সাল, বুলবুল যে কিনা নুপুর পায়ে সারাদিন বনে বাগানে ঘুরে বেড়াই, যে কিনা এখনো বুঝতেই শেখেনি,বিয়ে টা কি,পুতুল পুতুল বিয়েই ভাবতো বিয়েটাকে,এবং পুতুল বিয়ের মতনি রাজবাড়ীর বড়ো ছেলে ইনদ্রনিলের সাথে বিয়ে দিয়ে বুলবুল কে রাজবাড়ী তে নিয়ে যায়,তখনি বুলবুলের শৈশবের হাসি,কান্না, খেলার সাথী,হিসেবে পায়বুলবুলের বয়সী ইন্দ্রনিলের ছোট ভাই সত্যকে,তাড়া বড় হতে থাকে একসাথেই,সব দুঃখ কষ্ট ভাগ করে নিতে থাকে,কিন্তু ঠিক এর মধ্যেইকাল হয়ে দাড়ায় বয়সে বড় কিন্তু সম্পর্কে ছোট জা, কান ভারি করে তোলে বুলবুলের স্বামী ইনদ্রনীলের,বিনোদিনীর কথা বিশ্বাস করে ইন্দ্রনীল সত্য কে উকিল বানানোর জন্য বিলেতে পাঠিয়ে দেয়,আর বুলবুল তখনই খুব একা হয়ে যায়,এবং শুরু হয় বুলবুলের প্রতি অমানবিক অত্যাচার,এবং নিজের স্ত্রি কে ক্ষত বিক্ষত করে নিজেই রাজবাড়ী ত্যাগ করে ইন্দ্রনীল । এদিকে স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে বুলবুলকে ধর্ষন করে তারই আরেক দেবর,যে কিনা মানুষিক ভাবে ভারসাম্যহীন ছিলো,এর পরে থেকেই বুলবুল যেনো আর বুলবুল থাকে না,হয়ে যায় দেবি,তার পর থেকে গ্রামের অসহায় মেয়ে দের পাশে থাকতো সে,কিন্তু একটু অন্য ভাবে,সব দুষ্টুর দল কে দমন করা ছিলো যেনো বুলবুলের কাজ,এবং সে এক অসাধারন শক্তির অধিকারিনী হয়,তারপর?এখানেই গল্পের মোড়।
অন্বিতা দত্ত’র পরিচালনায় এক অলৌকিক শক্তির মোড়কে নারীবাদের গল্প ‘বুলবুল’র মূল চরিত্রে অর্থাৎ বুলবুলের ভূমিকায় তৃপ্তি দিমরি, - বিনোদিনি চরিত্রে পাওলি দাম, -ঠাকুরমশাই চরিত্রে অর্থাৎ স্বামীর ভুমিকায় রাহুল বোস, -ডক্টরের চরিত্র পরমব্রত চট্রোপাধ্যায় -এবং সত্য’র ভুমিকা দেবর অবিনাশ তিওয়ারি প্রযোজক হিসেবে সফলতার চূড়ায় যেনো পৌঁছে যাচ্ছে অনুষ্কা শর্মা সম্প্রতি আ্যমাজন প্রাইমে তার প্রযোজিত ওয়েব সিরিজ পাতাল লোক’র সাফল্যের পরে তার নিজের প্রযোজনা সংস্থা ক্লিন স্টেট প্রডাকশনে নতুন চমক নিয়ে এলো বুলবুল, যা কিনা ২৪জুন নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাওয়ার পরপরি বুলবুল মুভির রিভিউ নিয়ে উপচে পরা ভীর যেনো লেগে গেছে সোশ্যাল মিডিয়াতে।বড়পর্দার হিল্লোরি, পরী’র মতন প্রত্যেকটি সিনেমা,সিরিজে নারীর চরিত্ররা বেশ গুরুত্ব পেয়েছে,এবং বুলবুল যেনো তার বাইরে নয়। 👉তবে ছবিটার মধ্যে কোন নতুনত্ব পাই নি,কারন যারা দেবী ছবি দেখেছে এই ছবি তাদের জন্য না।একটা ছবি যতই ভালো ভাবে বানানো হোক না কেনো,ভালো লাইট, ভালো মেকিং, ভালো কস্টিউম,ভালো ছিন,সব কিছু ভালো, কিন্তু ছবি টা কোন এক হিট সিনেমার নকল তাহলে সেই ভালো করে আমার মতে কোন লাভ থাকে না,,১.৩০ মিনিট একটা ছবি দেখার পরে আপনি এইটুকুই বলবেন ছবির পুরো সিনারি তো আমার জানায় ছিল। 👉এটা একান্তই আমার মতামত,তাই সবাই খমার দৃষ্টি তে দেখবেন।
এটি মুলত ১৯৪৩-৪৪ সালের দুর্ভিক্ষপীড়িত বৃহত্তর বাংলা অসহায় মানুষদের অকাল মৃত্যুর পটভূমিতে তুলে ধরেছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ সরকার সেনাবাহিনীদের জন্য অতিরিক্ত চাল সংগ্রহ করতে গিয়ে, বাংলার গ্রামের এলাকা গুলোতে তীব্র চালের (খাবার)আরো অন্যন্যে সব জিনিস এর সংকট দেখা যায়,এবং চালের দাম দ্বিগুণ বেড়ে যায়,এক পর্যায়ে মানুষ টাকা দিয়ে ও চাল কিনতে পারে না,কারন যাদের ঘড়ে চাল থাকে, তারা চাল বিক্রি করতে চাই না,দিনে দিনে সব মানুষ না খেতে পেরে মৃত্যু বরণ করেন।ফলে ৫০ লাখ মানুষ মৃত্যুমুখে পতিত হয়। এই দুর্ভিক্ষ কিভাবে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে বিভিন্ন অন্যয় কাজে প্রভাবিত করেছিলো, এবং বাংলার গ্রাম মানুষরা কিভাবে মৃত্যুর মুখে পতিত হয়েছিলো তা-ই এই ছবির মূল উপজীব্য। অভিনয়ে ছিলো 👉সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় — গঙ্গাচরণ চক্রবর্তী 👉ববিতা — অনঙ্গ বউ 👉চিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায় — মতি 👉সন্ধ্যা রায় — ছুটকি 👉গোবিন্দ চক্রবর্তী — দীনবন্ধ 👉রমেশ মুখোপাধ্যায় — বিশ্বাস
প্রতেকের অভিনয় ছিলো খুবি বাস্তবমুখি,খুব ভালো অভিনয় এর মাধ্যমে তারা ১৯৪৩ এর এই ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ কে তুলে ধরেতে পেরেছেন। 👉অশনি সংকেত সত্যজিৎ রায় পরিচালিত প্রথম রঙিন ছবি।যা কিনা ১৯৭৩ সালে মুক্তি পায়। ছবিটি বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা একই নামের একটি উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হয়েছিলো।। 👉যেখানে মুল চরিত্রে অভিনয় করছিলো বিশিষ্ট ভারতীয় অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ও বাংলাদেশের বিশিষ্ট অভিনেত্রী ববিতা।
👉National Film Day is celebrated by BFDC it is a government owned and operated corporation. SM Haroon-Or-Rashid is the managing director of the corporation. Every year BFDC organise some events to celebrate this Day but due to Corona virus pandemic this year there is less celebrations for the day. 👉The organization was founded in 1959 as the East Pakistan Film Development Corporation which was changed to Bangladesh Film Development Corporation after Bangladesh achieved independence in 1971 👉Bangladesh national cinema history began with the realisation that cinema existed in this land before there was any Bangladesh at all unlike most other nation-states, cinema history in Bangladesh begins before the begining of the national history. The first movie exhibition began in Bangladesh in the east Bengal at the end of the 1890s. In 1900 the silent film production began here and the sound film production in the 1950s. The film theatres establishment began here in the 1910s but the production of the theatrical features started at the 1950s. The beginning of the Bangladeshi cinema is with the making of The Face and the Mask in 1956 and it is called as the first theatrical feature produced in the East Pakistan/East Bengal. And the face and mask in 1956 with the moving images create and projected by the Lumiere brothers in France in 1895.......🙂
👉In December 1971, the East Pakistan Film Development Corporation changed its name to the Bangladesh Film Development Corporation, which had the only major film studio and colour lab of the Bangladeshi film industry until the 2010s. Most Bangladeshi films were produced from this studio. Production quantity continued to increase after Bangladesh gained its independence; by the 1990s, over 90 films per year were released. At that time, the film department was under the leadership of Abdul Jabbar Khan.The Bangladeshi film industry was successful both critically and commercially through the first half of the 1990s. 👉A group of leading film directors of the 1990s held a rally at the compound of Bangladesh Film Development Corporation studio (the only full-service film production studio in Bangladesh) in Dhaka on 3 August 1998. They demanded that the government should declare 3 August as National Cinema Day because the first cinematic protest of the nation”, The Face and the Mask,as it was released on this date in 1956. April 3 is being observed as National Film Day every year since 2012. On 3 April of evey year the National Film day of Bangladesh is observed, the day is organized and celebrated by the corporation. The day marks the occasion when Sheikh Mujibur rahman then Minister of Industries and Commerce of East Pakistan introduced the bill to formulate the East Pakistan Film development corporation.🙂🙂🙂 This is the end of my discussion for the day🙂🙂