Project information
- Project No. : 12
- Course Code and Name : MSJ11333 Writing for Film and Television
- Project Name : Script Writing First Four Steps (out of seven) of Developing a Screenplay.
Last Three Steps (out of seven) of Developing a Screenplay - Project date : Summer 2021
Project
Course Code and Name: MSJ11333 Writing for Film and Television
Topic: Script Writing First Four Steps (out of seven) of Developing a Screenplay. Last Three Steps (out of seven) of Developing a Screenplay
Project Date: Summer 2021
Project Description: In this course we had to perform individually. Each of us wrote screenplay. This project was designed as first four steps of screenplay and last three steps of the screenplay which we wrote by ourselves.
Project Justification:This course helped us understand the screenplay of a program. In this course we wrote script for film and television which was very beneficial for our future projects.
Project produced under this course:
Department of Media Studies and Journalism
University of Liberal Arts Bangladesh
Fall 2020
MID TERM EXAM ASSIGNMENT
Name of the Student: Sifat Nusrat |
---|
ID No.: 181012048 |
Department: MSJ |
Course Code: MSJ11333 |
Course Title: writing for film and television |
Submission Date: 3-12-2020 |
Mid Term Assignment
Assignment Topic: First Four Steps (out of seven) of Developing a Screenplay
Mark Breakdown and Obtained Marks:
সিরিয়াল নম্বর | নম্বর | প্রাপ্ত নম্বর | |
---|---|---|---|
ধাপ-১ | প্রাথমিক ধারণা | ক্রেডিট নাই | |
ধাপ-২ | ভিত্তি প্রস্তাবনা | ৫.০ | |
ধাপ-৩ | প্রাথমিক গল্প-বিন্যাস | ৮.৮০ | |
ধাপ-৪ | প্লট বা দৃশ্য রূপরেখা | ১২.০ |
MARKS OBTAINED
TOTAL MARKS 25
Signature of Examiner
ভুল সিদ্ধান্ত
১ম ধাপঃ প্রাথমিক ধারনা
নিতুর বিয়ে ঠিক হলো, নিতুকে নিতুর মা বলছে ছেলে পক্ষ তো তোকে অনেক পছন্দ করেছে তাই আমরাও রাজি এখন তোদের বিয়ের ডেট টা ঠিক করা হচ্ছে, নিতু কল্পনা করছে সে একজন শিক্ষিতা, মেডিকেলে পড়ুয়া ছাত্রী, সে কিভাবে একজন ইন্টার পাশ অব্দি পড়া ছেলেকে বিয়ে করবে, এই কথা ভাবতেই নিতুর চোখ বড়ো হয়ে উঠলো এবং কপালে একটা দুশ্চিন্তার রেখা দেখা যাচ্ছে।এর পরিপ্রেক্ষিতে,নিতুর যে ছেলে পছন্দ না তা নিতু কাউকে বলতেও পারছে না। নিতুর মতামত না জেনেই বিয়ের ডেট ঠিক হচ্ছে।
২য় ধাপঃ ভিতি প্রস্তাবনা
যদি এমনটি হয়,একটি মেয়ে বিয়ের পূর্ব মুহূর্তে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় তাহলে কেমন হয়?
তৃতীয় ধাপঃ প্রাথমিক গল্প - বিন্যাস
আহমেদ এবং সাজেদা বারান্দায় বসে চা খাচ্ছে এবং চা খাওয়া শেষ
আহমেদ তার বাড়ির প্রতিটি জিনিস পএ গুছিয়ে রাখছেন।
নিতু তার পড়ার টেবিলে বসে পড়ছে।সে কল্পনায় দেখে তার গায়ে একটি সাদা রং এর এপ্রন এবং সে রুগী দের সেবা করছে।হঠাৎ তার মনে পরলো তার সকাল ১০ টায় ফটোকপির দোকানে যেতে হবে কিছু নোট ফটোকপি করে আনতে,নিতু হাটার সময় হঠাৎ খেয়াল করলো পাড়ার কিছু বখাটেরা নিতুকে দেখে বাজে কথা বলছে,আর নিতুর দিকে বাজে দৃষ্টিতে তাকাচ্ছে, নিতু,একটু বেটে,কালো, আর মোটা বলে তাকে নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে তা সে বুঝতে পারছে, কাজ শেষে নিতু বাড়ি ফিরলো,এখন সে নিজের বিছানায় শুয়ে গল্পের বই পড়ছে । কাঁচা হলুদের বাটি নিয়ে সাজেদা ঘড়ে প্রবেশ করে এবং তার হাতে একটা রুপচর্জা বিষয়ক বই দেখা যাচ্ছে, এবং বই এর বিষয় বস্তুর সাথে কি যেনো মিলিয়ে নিচ্ছে সাজেদা। সাজেদা হলুদ মুখে লাগাতে অনুরোধ করছে নিরকে, সে এখন দেখতে যেমন তার ঠিক তাকে দেখতে এমনই ভালো লাগছে। কিন্ত মা যেহেতু হলুদ মুখে লাগাতে বললো তাই নিতু আয়নার সামনে যেয়ে হলুদ মুখে লাগাচ্ছে ।নিতু যখন মুখে হলুদ লাগায় এবং সে এটা কল্পনা করে যে এই কাজ টা সে শুধু ফর্সা হওয়ার জন্য করছে যাতে পাএ পক্ষ তাকে দেখতে এসে পছন্দ করে, এই কথাটা ভাবলেই নিতুর আত্মাবিশবাস কমতে থাকে এবং এটা সে কল্পনা করতে করতে দুটো আঁখি বেয়ে অঝোরে অশ্রু ধরতে লাগলো।
পাত্রপক্ষ যখন তাকে দেখতে আসে এবং তাকে গায়ের রং এর জন্য পছন্দ হয় না বলে, তখন বাবা মা এর চিন্তাটা নিতু দেখতে পায়। একজন ছেলে আজ নিতুকে দেখতে আসছে এবং নিতুকেও তাদের পছন্দ হয়েছে বলে জানালো। কিন্তু সমস্যা হলো ছেলে দুবাই ফেরত আর মাত্র ইস্টার অবধি পড়ালেখা করছে বলে নিতুকে জানানো হলো। নিতু কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছে না এই ব্যাপারটি। সে কিভাবে একজন ইন্টারপাশ ছেলেকে বিয়ে করবে তা সে কোন ভাবেই ভেবে পাচ্ছে না। কিন্তু সে এখন কিছুই বাবা মাকে খুলে বলতে পারলো না।
বিয়ের আয়োজন চলছে।হঠাৎ আহমেদ কল্পনা করলো নিতু আজ বাড়ি থেকে চলে যাচ্ছে, তখনই তার চিন্তার রেখা দেখা দিলো কপালে।আহমেদ হঠাৎই নিতুর ঘরের দিকে যেতে আরন্ত করছে। দরজায় টোকা দিয়ে অপেক্ষা করতে লাগলেন । ভেতরে কোন সারাশব্দ নেই। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর তিনি বিস্ময়ে দরজাটা হাল্কা খুলে ভেতরে ডুকে দেখেছে ভেতরে নিতু নেই। হঠাৎ আহমেদের চোখ আটকে গেল ড্রেসিং টেবিলের উপর। সেখানে একটা ডায়েরি খোলা পরে আছে। পাশে পড়ে আছে নিতুর বিয়ের শাড়ী, গহনা বিয়ের সাজসজ্জা। ডায়েরিটা হাতে তুলে নিয়ে দেখছে সেখানে নিতুর হাতে লেখা একটি চিঠি। তাকে উদ্দেশ্য করেই লেখা চিঠিটি পড়ে আহমেদ স্তব্ধ হয়ে আছেন, চিৎকার করে সাজেদা বলে ডেকেই মেঝেতে বসে পরলো এবং বললো নিতু নেই। উদ্দিগ্ন মুখে নিতুর বাবা থানায় ফোন করছেন। অফিসারকে খুলে বলছেন সব কথা। এদিকে সাজেদা পুলিশ কে এই ব্যাপারে জানাতে নিষেধ করছে। কারন সে আচ করতে পারছে নিতু আসলেই কোথায় যেতে পারে, এবং সাজেদা বেগম সাথে সাথেই নিতুর খালাতো ভাই কে ফোন দিলো, এবং অপর পাশ থেকে রাশেদ বললো খালামনি নিতু আমার বাসায় আসেনি। তখন সাজেদা বেগম বলে উঠলো তাহেলে আজ নিতুর বিয়ে হচ্ছে তুই কেন আসলি না? রাশেদের গলার স্বরে সাজেদা বেগমের সন্দেহ হচ্ছে এবং সাজেদা বেগম কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হতেই দেখে পুলিশ গেটের সামনে এসে দাড়ালো।
আহমেদ নিতুর পড়ার টেবিলে বসে আছেন। তিনি নিজের কৃতকর্মের জন্য প্রচন্ড অপরাধবোধ করছে। নিতুর ট্রফিগুলো সে হাত দিয়ে ছুঁয়ে দেখছে টেবিলের উপর থেকে। পুলিশ এসে আহমেদ সাহেবের ঘাড়ে হাত দিলো, পুলিশ জিডি নিলো এবং চলে যাচ্ছে, আহমেদ সাহেব লক্ষ করছে সবার চোখে অস্রু শুধু সাজেদা বেগম এর ব্যবহার তার আজ অন্য রকম।এবং সাজেদা বেগমের বোনের সাথে অনেকক্ষণ যাবৎ কথা বলছে, কি বলছে তা শোনা যাচ্ছে না।যা একটু অসাভাবিক লাগছে আহমেদের। এদিকে নিতু রাশেদের সাথে সিলেট যাওয়ার উদ্দেশ্যে ট্রেনে উঠে গেছে,নিতুকে রাশেদ ট্রেনের একটা কেবিনে নিয়ে গেলো, এবং বসতে বলছে, নিতু বসলো, কিছুখনের মধ্যেই ট্রেন ছেড়ে দিলো,ট্রেন ছাড়ার € মিনিটের মধ্যে ট্রেনের কেবিনের ভেতর ৫,৬ জন ছেলে সহজ রাশেদ প্রবেশ করলো,এবং নিতুকে ২ সাইড দিয়ে যাপটে দরতেই হঠাৎ দ়জায় টোকা দিয়ে টিকিট দেখতে চাচ্ছে। ছেলেগুলো দরজা খুলতে না চাওয়ায় জোরে একটা ধাক্কা দিলো ট্রেনে থাকা পুলিশ। সাথে সাথেই দরজা থুলে গেল। দরজাটা খুলেই দেখে নিতুর মুখে কাপড় দিয়ে হাত বেধে, পা বেঁধে রেখেছে, তখনই ট্রেনের নিরাপত্তা বাহিনী এসে বখাটে ছেলেগুলো সহ নিতুর মামাতো নেশাগ্রস্ত ভাইকে ধরে নিয়ে যায়। নিতু বলতে থাকলো রাশেদের কোন দোষ নেই। আমি ওকে বিশ্বাস করেছি এটা আমার দোষ। এটা বলতে বলতেই নিতু অঝোরে কাঁদতে শুরু করলো। নিতু তখন আর কাওকেই বিশ্বাস করতে পারছে না। নিতু বার বার তার মায়ের কাছে যেতে চাইলে তাকে এই অবস্থায় এই ভাবে যেতে দিচ্ছে না। তারা সরাসরি নিতুকে পুলিশের হাতে তুলে দিতে চাচ্ছে। এমতবস্থায় পুলিশকে ফোন দিয়ে জানালো ট্রেনের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী,সামনের একটা স্টপেজে ট্রেন থামলো এবং নিতুকে পুলিশের হাতে তুলে দিচ্ছে, নিতুকে নিয়ে পুলিশ নিতুর বাড়িতে যাচ্ছে, হটাৎ একজন পুলিশ নিতুর কাছে জানতে চাইলো রাশেদ যে নেশাগ্রস্ত এবং বখাটে সভাবের সেটা জেনেও তাকে কেলো বিশ্বাস রলেন? নিতু কিছু খন চুপ থেকে উওরে বললো, আমি ভেবেছিলাম ভাইয়া আর যার সাথেই যেমন করুক কিন্ত আমার সাথে খারাপ কিছু করবে না, পুলিশ অফিসার বলে উঠলো শুধু বিশ্বাসের জোরে আপনি রাশেদের সাথে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলেন? নাকি অন্য কিছু? আবারও উত্তরে নিতু একই কথা বলছে হ্যা শুধু বিশ্বাসের জোরে,কিক্ত আমি ভুলে গেছিলাম রাশেদ আমার ভাই হলেও হলেও কোন নেশাগ্রস্ত রাশেদ আমার ভাই না।কারন একজন নেশাগ্রস্ত মানুষ তার মানবতা হারিয়ে ফেলে।
দৃশ্য/প্লট রূপরেখা
এক্ট 1: পারম্ভিক পর্যায়
১.বারান্দায় বসে আহমেদ এবং সাজেদা চা খাচ্ছেন এবং হাত নারিয়ে গল্প করছে
২.চা খাওয়া শেষে কাপ দুটো নিয়ে সাজেদা রান্না ঘড়ের যাচ্ছে, সেখানে কাপ দুটো রাখলো সাজেদা।
৩.আহমেদ সাহেব ঘরের সব বই জিনিস পএ গুছিয়ে রাখছেন।
৪.নিতু তার পড়ার টেবিলে বসে পড়ছে।.নিতু কল্পনা করছে সে একটা সাদাএপ্রন পরে হসপিটাল রুগী দেখছে।
৫.নিতু বাইরে যাচ্ছে, এবং পাড়ার কিছু বখাটেরা নিতুকে মোটা,কালো, বেটে বলে নিতুর দিকে
কিভাবে যেনো তাকাচ্ছে, এবং বাজে কথা বলছে,যা নিতুর একদমই ভালো লাগছে না।কাজ শেষ নিতু এখন বাড়ি ফিরছে।
৬.কাঁচা হলুদের বাটি নিয়ে সাজেদা ঘড়ে প্রবেশ করে এবং তার হাতে একটা রুপচর্জা বিষয়ক বই দেখা যাচ্ছে, এবং বই এর বিষয় বস্তুর সাথে কি যেনো মিলিয়ে নিচ্ছে সাজেদাসাজেদা নিতুতে হলুদ মুখে লাগাতে অনুরোধ করে।
৭. নিতু আয়নার সামনে যেয়ে হলুদ মুখে লাগাচ্ছে নিতু যখন মুখে হলুদ লাগায় এবং সে এটা কল্পনা করে যে এই কাজ টা সে শুধু ফর্সা হওয়ার জন্য করছে যাতে
পাএ পক্ষ তাকে দেখতে এসে পছন্দ করে।
৭.একজন ছেলে আজ নিতুকে দেখতে আসলো এবং নিতুকেও তাদের পছন্দ হয়েছে বলে জানালো।
৮।.আজ নিতুর বিয়ে এটা আহমেদ সাহেব চিন্তা করতেই তার কপালে একটা ভাজ পরছে।
৯.আহমেদ নিতুর রুমের সামনে গিয়ে দাড়াল, দরজায় টোকা দিয়ে অপেক্ষা করতে লাগলেন।কোন সারা না পেয়ে ঘাড়ে ডুকে দেখে নিতু নেই।
এক্ট 2 (মধ্যম পর্যায়)
১০.উদ্দিগ্ন মুখে নিতুর বাবা থানায় ফোন করছেন। অফিসারকে খুলে বলছেন সব কথা।
১১.সাজেদা বেগম আচ করতে পেরেছে নিতু কোথায় যেতে পারে, তাই তার আচরন বিধি অন্যরকম চোখে পড়ছে।. এবং সাজেদা বেগম কাওকেই কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হতেই দেখে পুলিশ গেটের সামনে এসে দাঁড়ালো।
১২.আহমেদ নিতুর পড়ার টেবিলে বসে আছেন। .তিনি নিজের কৃতকর্মের জন্য প্রচন্ড অনুতপ্ত বোধ করছেন, নিতুর ট্রফি গুলো সে হাত দিয়ে ছুয়ে দেখছে টেবিলের উপর থেকে। পুলিশ এসে আহমেদ সাহেবের ঘাড়ে হাত দিলো।
১৩.আহমেদ সাজেদা বেগমের বোনের সাথে অনেকখন যাবৎ কথা বলছে, কি বলছে তা শোনা যাচ্ছে না।যা একটু অসাভাবিক লাগছে আহমেদের
১৪.এদিকে নিতু রাশেদের সাথে সিলেট যাওয়ার উদ্দেশ্যে ট্রেনে উঠে গেছে নিতুকে রাশেদ ট্রেনের একটা কেবিনে নিয়ে গেল ট্রেন ছাড়ার ৫ মিনিটের মধ্যে ট্রেনের কেবিনের ভেতর ৫,৬ জন ছেলে সহজ রাশেদ প্রবেশ করলো
১৫.এবং নিতুকে ২ সাইড দিয়ে যাপটে ধরলো দুজন ছেলে | ঠিই তখনই দড়জায় টোকা দিয়ে টিকিট দেখতে চাচ্ছে ট্রেনের নিরাপত্তা বাহিনী।দরজা না
খুলতে চাওয়ায় জোরে একটা ধাক্কা দিলো নিরাপত্তা বাহিনী।
১৬.দরজাটা খুলেই দেখে নিতুর মুখে কাপড় দিয়ে হাত বেধে, পা বেঁধে রেখেছে, ট্রেনের নিরাপত্তা বাহিনী এসে ছেলেগুলো সহ নিতুর মামাতো নেশাগ্রস্ত ভাই কে
ধরে নিয়ে যাচ্ছে।
এক্ট.৩(সমাপ্তি পর্যায়)
১৭.নিতুর হাতের বাধন এবং মুখের কাপড় খুলে দিলো নিতু তখন আর কাওকেই বিশ্বাস করতে পারছে না ।নিতু বারবার তার মায়ের কাছে যেতে চাচ্ছে।
১৮.এমত অবস্থায় পুলিশকে ফোন দিয়ে সব জানাচ্ছে ট্রেনের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসামনের একটা স্টপেজে ট্রেন থামলো এবং নিতুকে পুলিশের হাতে তুলের দিচ্ছে।
১৯. হটাৎ একজন পুলিশ নিতুর কাছে জানতে চাইলো রাশেদ যে নেশাগ্রস্ত এবং বখাটে সেটা জেনেও তাকে কেনো বিশ্বাস করলেন?
২০.নিতু কিছু খন চুপ থেকে উওরে বললো, আমি ভেবেছিলাম ভাইয়া আর যার সাথেই যেমন করুক কিন্ত আমার সাথে খারাপ কিছু করবে না,
২১.পুলিশ অফিসার বলে উঠলো শুধু বিশ্বাসের জোরে আপনি আপনার মামাতো ভাই এর সাথে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলেন? নাকি অন্য কিছু?
২২.আবারও নিতু বলছে হ্যা বিশ্বাসের জোরে,কিন্ত আমার বোঝা উচিত ছিলোএকজন নেশাগ্রস্ত মানুষ তার মানবতা হারিয়ে ফেলে।
প্রারম্ভিক ঘটনা
* উদ্দীপক ঘটনা
* প্রথম দ্বান্ৰিক বিন্দু
* বাধা
মধ্যম পর্যায়
* মধ্যে বিন্দু
* বাধা
* দ্বিতীয় দ্বান্দিক বিন্দু
* বাধা!
সমান্তি পর্যায়
* ক্লাইম্যাক্স
সমাপ্তি
পঞ্চম ধাপ- পূর্ণাঙ্গ গল্প বিন্যাস
আহমেদ সাহেব সকালবেলা বারান্দায় আরাম কেদারায় বসে পণ্রিকা পড়ছেন,ও দিকে সাজেদা বেগম রান্না ঘড়ে চা তৈরি করছেন,চায়ে চিনি ঠিক হল কিনা তা দেখে নিচ্ছেন সাজেদা, এবং চা বানানো শেষে সাজেদা বেগম চা নিয়ে বারান্দার দিকে এগুতে থাকেন। আহম্মেদ সাহেব সাজেদা বেগমের আসা দেখে সাজেদার দিকে কিয়ে একটা হাসি দিলেন। সাজেদা বেগম চা টা আহমেদ সাহেবের হাতে দিলেন। আহমেদ সাহেব ও সাজেদা বেগম চায়ে চুমক দিতে দিতে কিছু কথা বলতে শুরু রলেন। চা পান করা শেষে আহমেদ সাহেব বারান্দা থেকে উঠে যাচ্ছেন এবং বসার ঘড়ের বই পএ ঘুছিয়ে রাখছেন,নিতুন পড়ার টেবিলে বসে পড়ছে। পড়ার টেবিলে এনাটমির বইটার পাতা উল্টে পাল্টে দেখতে দেখতে হঠাৎ সে কল্পনার জগতে ডুব দেয় আ্াপ্রন গায়ে রোগীদের সেবা দিচ্ছেন তিনি।হঠাৎ মোবাইলে রিমাইন্ডার বেজে উঠে ১০টা বাজে নিতুর ফটোকপির দোকানে যাওয়ার কথা, নিতু রিমান্ডার পেয়ে ঝটপট করে ফটোকপির দোকানের দিকে রওনা দিচ্ছে, নিতু হাঁটছে হঠাৎ নিতু খেয়াল করলো, আনন্দ তার বখাটে সাঙ্গ -পাঙ্গ নিয়ে জলন্ত সিগারেট হাতে আড্ডা দিচ্ছে, নিতুকে দেখার সাথে সাথেই তাদের চোখ গুলো তৃষ্ণার্ত কাকের মতো হয়ে যায়, নিতু বুঝতে পারে ওরা নিতুর শরীর নিয়ে বাজে কথা বলছে, নিতু ওসবে ফিরে যায়,এখন নিতু বিছানায় শুয়ে গল্পের বই পড়ছে,সাজেদা বেগম হাতে কাঁচা হলুদের বাটি এবং একটা রুপচর্চার বই হাতে নিতুর সামনে এসে দাঁড়ালো, সাজেদা বেগম রুপচর্চার বইটা দেখে মিলিয়ে নিচ্ছে কিভাবে ত্বক ফর্সা করা যায়, এবং নিতুকে উঠে বসতে বললো,সাথে হলুদ সুখে লাগাতে বললো,নিতু বিষয়টিতে খুব বিব্রত বোধ করছে কারণ নিতু তার চেহেরা নিয়ে খুশি। নিতু হলুদের বাটি নিয়ে আয়নার সামনে যেয়ে হলুদ মুখে লাগাচ্ছে এবং সে কল্পনা করছে গায়ের রং দিয়েই কি মেয়েদের সৌন্দর্যের বিচার হয়? এ কথা চিন্তা করতে করতেই নিতুর চোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ছে।
নিতুকে আজ পাএ পক্ষ দেখতে এসেছে,নিতুকে দেখার পরে পাএপক্ষ একে অপরের দিকে তাকিয়ে চোখাচোখি করলো,নিতুকে দেখা শেষে নিতুর মা নিতুকে ঘড়ে নিয়ে গেলো, নিতু হঠাৎ কল্পনা করলো,এর আগের সব বিয়ে ভেঙে গেছে শুধু নিতু কালো,মোটা বলে,হঠাৎ নিতুর মা নিতুকে বললো পাএ পক্ষ তোকে পছন্দ করেছে নিতুকে এটাও জানানো হলো যে ছেলে দুবাই ফেরত আর মাএ ইন্টার অব্দি পড়াশোনা করেছেন,এটা শোনার পরে নিতু কোনভাবেই মেনে নিতে পারছে না এই ব্যপারটা । সে কিভাবে একজন মাধ্যমিক পাশ করা ছেলেকে বিয়ে করবে তা সে কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছে না কিন্ত সে এখন কিছুই বাবা মা কে খুলে বলতে পারলোনা। বিয়ের আয়োজন চলছে মেয়ের বিয়ে শশুর বাড়িতে চলে যাবে,ছোট্ট নিতু দেখতে দেখতে দেখতে কত বড়ো হয়ে গেছে, এই কথা গুলো ভাবতেই আহমেদ সাহেবের চোখে জল গোরিয়ে পড়ছে,চোখ মুছতে মুছতে তিনি নিতুর ঘড়ের দিকে হাঁটছেন,নিতুর রুমের সামনে যেয়ে দরজায় নক করলেন আহমেদ সাহেব, কোন সাড়া নেই, একটু অপেক্ষা করবার পরে আহমেদ সাহেব দরজাটা হালকা খুলে ----------- ভিতরে ডুকে দেখেন ভেতরে কেউ নেই।আহমেদ সাহেব হতভম্ব হয়ে চারিদিকে তাকাচ্ছেন হঠাৎ চোখ আটকে গেলো নিতুর ডেসিনটেবিলের দিকে,তিনি দেখতে নিতুর মায়ের আপত্তি সন্বেও আহমেদ সাহেব থানায় ফোন করছে, অফিসারকে সবকিছু খুলে বলছেন।এদিকে নিতুর মা আন্দাজ করতে পারছে নিতু এখন কোথায় থাকতে পারে, নিতুর মা নিতুর খালাতো ভাইয়ের কাছে ফোন দিলেন এবং অপর পাশ থেকে বলে উঠলেন খালামনি নিতু তো আমাদের বাসায় আসেনি। প্রতি উত্তরে নিতুর মা বলছেন আজ নিতুর বিয়ে অথচ তুই আসলি না? রাশেদ কিছু না বলেই ফোনটা কেটে দিলো। এতে নিতুর মায়ের আরো সন্দেহ হলো। কাউকে কিছু না বলেই বাহিরে বের হতেই দেখেন পুলিম গেটের সামনে দাঁড়িয়ে। আহমেদ সাহেব নিতুর ঘরে সেলফে রাখা নিতুর ট্রফিগুলো ছুঁয়ে দেখছেন,পেছন থেকে পুলিশ এসে আহমেদ সাহেবের কাঁধে হাত রাখছেন,আহমেদ সাহেব চমকে উঠে পিছেন তাকাচ্ছেন, তাকাতেই দেখেন পুলিশ, সব শোনার পরে পুলিশ চলে যাচ্ছেন।আহমেদ সাহেব দেখছেন সবার চোখে জল কিন্ত সাজেদার চোখে ছাড়া,এবং সাজেদা বেলকনির ধারে যেয়ে তার বোনের সাথে উদ্বিগ্ন হয়ে কথা বলছে,দুজনকেই খুব উ্ডেজিত দেখাচ্ছে। ট্রেনের জন্য নিতু রাশেদ অপেক্ষা করছে,কিছুখন পরে ট্রেন আসলো”ট্রেন থামতেই রাশেদ নিতুকে নিয়ে ট্রেনে উঠল, নিতুকে একটা কেবিনে বসিয়ে রামেদ বাইরে চলে আসছে। বেশ কিছুক্ষণ আগে ট্রেন ছেড়েছে। কিন্তু রাশেদ আসছে না। এটা নিতু ভাবতে ভাবতেই রাশেদ ৫-৬ জন ছেলেসহ কেবিনে প্রবেশ করছে। এসেই নিতু কিছু না বুজতেই দুই পাশ থেকে ২ জন নিতুকে ঝাপটে ধরলো ছেলোগুলো। ঠিক তখনই কেবিনের দরজা নক করছে টিটি। ছেলেগুলো ঘাবরে গেলো,দরজা না খোলায়, ট্রেনের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হলো,এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এসে দড়জা ধাক্কা দিয়ে ভেতরে ডুকতেই দেখতে পেলো নিতুর হাত পা বাধা। পুলিশ ছেলো গুলো সহ রাশেদ কেও ধরে নিয়ে যাচ্ছে, নিতু তখন চিৎকার করে বলতে থাকেন রাশেদ ভাই কে নিবেন না,ওর কোন দোষ নেই আমি ওকে বিশ্বাস করেছি,এটা আমার দোষ, এই বলেই নিতুর দুই চোখ বেয়ে অশ্রু ধরতে লাগলো।ট্রেনের আইনশৃগ্বলা বাহিনী সামনের একটা স্টপেজে ট্রেন থামলে নিতুকে অখনের পুলিশের হাতে তুলে দিচ্ছে নিতু পুলিশের সাথে যেতে চাচ্ছিল না, কারন নিতু এখন আর কাওকেই বিশ্বাস করতে পারছে না। কিছুক্ষণ পরে নিতু গাড়িতে উঠে বসলো এবং গাড়ি চলতে শুরু করল। হঠাৎ একজন পুলিশ নিতুর কাছে জানতে চাইলো রাশেদ যে নেমাগ্রস্থ এবং বখাটে সেটা জেনেও তাকে কেন বিশ্বাস করলেন? আপনি তো জানতেন রাশেদ আপনার জন্য সেভ না? নিতু কিছুক্ষণ মাথা নিচু করে চুপ থেকে উত্তরে বললো, আমি ভেবেছিলাম রাশেদ আমার ভাই। ভাইয়া আর যার সাথে যেমন করুক কিন্তু আমার সাথে খারাপ কিচু করবে না। আর রাশেদ আমাকে বলেছিলো সে আমাকে ভালোভাবে চট্টগ্রাম পৌঁছে দিবে। পুলিশ অপিসার বলে উঠলো শুধু বিশ্বাসের জোড়ে আপনি খালাতো ভাইয়ের সাথে বের হয়ে গেলেন? নাকি অন্য কিছু? আবারও নিতু বলে উঠলো হ্যা বিশ্বাসের জোরেই। কিন্তু আমার বুঝা উচিত ছিল একজন নেশাগ্রস্থ মানুষ তার মানবতা হারিয়ে ফেলে। একজন নেশাগ্রস্থ মানুষ কারো ভাই হতে পারেনা।
যষ্ঠ ধাপ – গল্পের দৃশ্যক্রম বর্ণনাঃ
1.আহমেদ সাহেব বারান্দায় আরাম কেদারায় বসে প্রিকা পড়ছেন,ও দিকে সাজেদা বেগম রান্না ঘড়ে চা তৈরি করছেন,চায়ে চিনি ঠিক হল কিনা তা দেখে নিচ্ছেন সাজেদা,এবং চা বানানো শেষে সাজেদা বেগম চা নিয়ে বারান্দার দিকে এগুতে থাকেন,আহমেদ সাহেব সাজেদা বেগমের বারান্দার দিতে আসা দেখে সাজেদার দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দিলেন,সাজেদা বেগম চা টা আহমেদ সাহেবের হাতে দিলেন,এবং আহমেদ সাহেব ও সাজেদা বেগম চায়ে চুমুক দিতে দিতে কিছুখন দুজনে কিছু কথা বলতে শুরু করলেন।চা পান করা শেষে আহমেদ সাহেব সাহেব বারান্দা থেকে উঠে গেলেন এবং বসার ঘড়ের সব বই পত্র ঘুছিয়ে রাখছেন।
2.নিতুন পড়ার টেবিলে বসে পড়ছে, মেধা সাক্ষর রেখে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি হয়েছে,পড়ার টেবিলে এনাটমির বইটার পাতা উল্টে পাল্টে দেখতে দেখতে হঠাৎ সে
কল্পনার জগতে ডুব দেয় আাপ্রন গায়ে রোগীদের সেবা দিচ্ছেন তিনি।হঠাৎ মোবাইলে রিমাইন্ডার বেজে উঠে ১০ বাজে নিতুর ফটোকপির দোকানে যাওয়ার কথা, নিতু রিমান্ডার পেয়ে ঝটপট করে ফটোকপির দোকানের দিকে রওনা দিচ্ছে, নিতু হাঁটছে হঠাৎ নিতু খেয়াল করলো, আনন্দ তার বখাটে সাঙ্গ -পাঙ্গ নিয়ে জলন্ত সিগারেট হাতে আড্ডা দিচ্ছে, নিতুকে দেখার সাথে সাথেই তাদের চোখ গুলো
তৃষ্ণার্ত কাকের মতো হয়ে যায়, নিতু বুঝতে পারে ওরা নিতুর শরীর নিয়ে বাজে কথা বলছে, নিতু ওসবে কর্ণপাত না করে সামনের দিকে এগিয়ে ফটোকপির
3.এখন নিতু বিছানায় শুয়ে গল্লের বই পড়ছে,সাজেদা বেগম হাতে কাঁচা হলুদের বাটি এবং একটা রুপচর্চার বই হাতে নিতুর সামনে এসে দাঁড়ালো, সাজেদা বেগম
রূপচর্চার বইটা দেখে মিলিয়ে নিচ্ছে কিভাবে ত্বক ফর্সা করা যায়, এবং নিতুকে উঠে বসতে বললো,সাথে হলুদ মুখে লাগাতে বললো,নিতু বিষয়টিতে খুব বিব্রত বোধ করছে,কারন নিতু তার চেহারা নিয়ে খুশী, নিতু হলুদের বাটি নিয়ে আয়নার সামনে যেয়ে হলুদ মুখে লাগাচ্ছে, এবং সে কল্পনা করছে,গায়ের রং দিয়েই কী মেয়েদের সৌন্দর্যের বিচার হয়? এই কথা চিন্তা করতেই নিতুর চোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পরছে। এনিতুকে আজ পাএ পক্ষ দেখতে এসেছে,নিতুকে দেখার পরে পাত্রপক্ষ একে অপরের দিকে তাকিয়ে চোখাচোখি করলো।
নিতুকে দেখা শেষে নিতুর মা নিতুকে ঘড়ে নিয়ে গেলো, নিতু ঘড়ে বসে কল্পনা করলো,এর আগের সব বিয়ে ভেঙে গেছে শুধু নিতু কালো,মোটা বলে,হঠাৎ নিতুর মা নিতুকে বললো পাত্র পক্ষ তোকে পছন্দ করেছে নিতুকে এটাও জানানো হলো যে ছেলে দুবাই ফেরত আর মাএ ইন্টার অব্দি পড়াশোনা করেছেন,এটা শোনার পরে নিতু কোনভাবেই মেনে নিতে পারছে না এই ব্যপারটা | সে কিভাবে একজন মাধ্যমিক পাশ করা ছেলেকে বিয়ে করবে তা সে কোন ভাবেই এটা মেনে নিতে পারছে না কিন্ত সে এখন কিছুই বাবা মা কে খুলে বলতে পারলোনা।
5. বিয়ের আয়োজন চলছে মেয়ের বিয়ে শশুর বাড়িতে চলে যাবে,ছোট্ট নিতু দেখতে দেখতে দেখতে কত বড়ো হয়ে গেছে, এই কথা গুলো ভাবতেই আহমেদ সাহেবের চোখে জল গোরিয়ে পড়ছে,চোখ মুছতে মুছতে তিনি নিতুর ঘড়ের দিকে হাঁটছেন,নিতুর রুমের সামনে যেয়ে দরজায় নক করলেন আহমেদ সাহেব, কোন সাড়া নেই, একটু অপেক্ষা করবার পরে আহমেদ।
6. আহমেদ সাহেব হতভম্ব হয়ে চারিদিকে তাকাচ্ছেন হঠাৎ চোখ আটকে গেলো নিতুর ডেসিনটেবিলের দিকে,তিনি দেখতে পাচ্ছে ডেনিসটেবিলের উপর একটা খোলা ডায়েরি পরে আছে। ডায়েরিটা হাতে নিয়ে আহমেদ সাহেব পড়ছে, ডায়েরিটা পড়ার পড়ে আহমেদ সাহেব জোরে চিৎকার করে সাজেদা কে ডাকছে এবং আহমেদ সাহেব মেঝেতে বসে পরলো।
7. নিতুর মায়ের আপত্তি সন্বেও আহমেদ সাহেব থানায় ফোন করছে, অফিসারকে সবকিছু খুলে বলছেন।
8. এদিকে নিতুর মা আন্দাজ করতে পারছে নিতু এখন কোথায় থাকতে পারে,নিতুর মা নিতুর খালাতো ভাই রাশেদের কাছে ফোন দিলেন এবং রাশেদ উপর পাশ থেকে বলে উঠলেন খালামনি নিতু তো আমাদের বাসায় আসেনি,প্রতি উওরে নিতুর মা বলছেন আজ নিতুর বিয়ে অথচ তুই আসলি না যে? রাশেদ কিছু না বলেই ফোনটা কেটে দিলো।
9. নিতুর মায়ের আরো সন্দেহ হলেন,কাওকে কিছু না বলেই তিনি বাহিরে বের হতেই দেখেন পুলিশ গেইটের সামনে দাঁড়িয়ে।
10.আহমেদ সাহেব নিতুর ঘরে সেলফে রাখা নিতুর ট্রফিগুলো ছুঁয়ে দেখছেন,পেছন থেকে পুলিশ এসে আহমেদ সাহেবের কাঁধে হাত রাখছেন,আহমেদ সাহেব চমকে উঠে পিছেন তাকাচ্ছেন, তাকাতেই দেখেন পুলিশ, সব শোনার পরে পুলিশ চলে যাচ্ছেন।
11.আহমেদ সাহেব দেখছেন সবার চোখে জল কিন্তু সাজেদার চোখে ছাড়া,এবং সাজেদা বেলকনির ধারে যেয়ে তার বোনের সাথে উদ্দিন হয়ে কথা বলছে,দুজনকেই খুব উত্তেজিত দেখাচ্ছে।
12.ট্রেনের জন্য নিতু রাশেদ অপেক্ষা করছে,কিছুখন পরে ট্রেন আসলো, ট্রেন থামতেই রাশেদ নিতুকে নিয়ে ট্রেনে উঠল, নিতুকে একটা কেবিনে বসিয়ে রাশেদ বাইরে চলে আসছে।
13.বেশ কিছু খন আগে ট্রেন ছেড়েছে কিন্ত রাশেদ আসছে না, এটা নিতু ভাবতে ভাবতেই রাশেদ ৫- ৬ জন ছেলে সহ কেবিনে প্রবেশ করছে,এসেই নিতু কিছু না বুঝতেই দুই পাশ থেকে দুইজন নিতুকে ঝাপটে ধরলো ছেলে গুলো।
14. ঠিক তখনই কেবিনের দরজা নক করছে টিটি,.ছেলেগুলো ঘাবরে গেলো,দরজা না খোলায়, ট্রেনের আইন শৃত্বলা বাহিনীকে জানানো হলো,এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এসে দড়জা ধাক্কা দিয়ে ভেতরে ডুকতেই দেখতে পেলো নিতুর হাত পা বাধা।
15.পুলিশ ছেলো গুলো সহ রাশেদ কেও ধরে নিয়ে যাচ্ছে, নিতু তখন চিৎকার করে বলতে থাকেন রাশেদ ভাই কে নিবেন না,ওর কোন দোষ নেই আমি ওকে বিশ্বাস করেছি,এটা আমার দোষ, এই বলেই নিতুর দুই চোখ বেয়ে অশ্রু ধরতে লাগলো।
16.ট্রেনের আইনশৃগ্বলা বাহিনী সামনের একটা স্টপেজে ট্রেন থামলে নিতুকে অখানের পুলিশের হাতে তুলে দিচ্ছে্
10. নিতু পুলিশের সাথে যেতে চাচ্ছে না প্রথমে, কিছুখন পরে নিতু গাড়িতে উঠে বসলো, এবং গাড়ি চলতে শুরু করলো হটাৎ একজন পুলিশ নিতুর কাছে জানতে চাইলো রাশেদ যে নেশাগ্রস্ত এবং বখাটে সেটা জেনেও তাকে কেনো বিশ্বাস করলেন? আপনি তো জানতেন রাশেদ আপনার জন্য সেভ না৷ নিতু কিছু খন মাথা নিচু করে চুপ থেকে উওরে বললো- আমি ভেবেছিলাম সাথে খারাপ কিছু করবে না, আর রাশেদ আমাকে বলেছিলো সে আমাকে ভালো ভাবে চট্টগ্রাম পৌছে দিবে।পুলিশ অফিসার বলে উঠলো শুধু বিশ্বাসের জোরে আপনি আপনার মামাতো ভাই এর সাথে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলেন? নাকি অন্য কিছু? আবারও নিতু বলে উঠলো হ্যা বিশ্বাসের জোরেই ,কিন্ত আমার বোঝা উচিত ছিলোএকজন নেশাগ্রস্ত মানুষ তার মানবতা হারিয়ে ফেলে। একজন নেশাগ্রস্ত মানুষ কারো ভাই হতে পারে না৷
সপ্তম ধাপ- মাস্টার সিন স্ক্রিপ্ট বা চলচ্চিত্র চিত্র
আহমেদ সাহেব বারান্দায় বসে পত্রিকা পড়ছেন।
-আজকে চা পাওয়া যাবে নাকি চায়ের জন্য উপোষ করতে হবে?
সাজেদা চা
-এই নাও তোমার চা
আহমেদ-
- ছেলেপক্ষ জানালো ওরা সামনে শুক্রবার নিতুকে দেখতে আসছে। নিতুকে
প্রস্তুত থাকতে বলো।
-ওমা তাই। তাহলে তো সবকিছু রেডি করতে হবে।
২ ঘড়ের ভেতরে-নিতু এনাটমি বইয়ের পাতা উল্টাচ্ছে। এপ্রন পরে
রুগি দেখার দৃশ্য কল্পনায়। দিন
মোবাইলের রিমাইন্ডার বেজে উঠে ক্রিং ক্রিং
নিতি-
-ওহ,শিট দশটা বাজে---
ঝটপট করে রেডি হয় ফটোকপির দোকানে যাওয়ার জন্য নিতু হেটে
যাচ্ছে। আনন্দ তার সাংগ পাংগ নিয়ে নিতুর দিকে তাকায়,
আনন্দ -
-দেখেছিস আজ মনে হয় খুব তারা আছে।
সাংগ পাংগ-
-যা বলেছো গুরু
[বলেই সবাই হাসতে থাকে। নিতু চুপ চাপ ফটোকপির দোকানের
দিকে এগিয়ে যায়।]
৩.ভেতর-নিতুর রুম নিতু আধোশোয়া হয়ে গল্পের বই পড়ছে,
দড়জায় নক সাজেদা বেগমের রুমে প্রবেশ
সাজেদা-
-নিতু আগামী শুক্রবার ছেলেপক্ষ তোকে দেখতে আসছে। এই কাচা
হলুদ গুলো মুখে লাগাও,এই কয়দিন তোমাকে রুপচর্চা এর উপরে
থাকতে হবে,যাতে ছেলে পক্ষ পছন্দ করে।
নিতু-
-মা তুমি না পাড়ও বটে। আমি যেমন আছি তেমনি আমার ভালো
লাগে, এটা তোমার বোঝা উচিৎ।
সাজেদা-
-আচ্ছা রেখে গেলাম। মন চাইলে লাগিয়ে নিস।
[নিতু অনেকটা বিব্রত। তার পড়েও আয়নার সামনে বসে হলুদ
লাগাচ্ছে। মনে মনে নিজের সাথে কথা বলছে,
-শুধু ফর্সা হবার জন্য এত কিছু?
-গায়ের রঙ দিয়েই কি সুন্দর্য বিচার হয়?
৪.ভেতর -পাত্রপক্ষ ডাইনিং রুমে বসে অপেক্ষা করছেন সাজেদা বেগম
নিতুকে নিয়ে আসছে
নিতু
-আল্লামু আলাইকুম
পাত্রের মামা-
বসো মা বসো, তোমার নামটা যেনো কি?
নিতু
জী, নিতু
আহমেদ সাহেব -
চা, নিন ভাই সাহেব।
পাত্রের মামা-
আচ্ছা মা তোমার পড়াশোনা কত দুর?
নিতু
আমি ঢাকা মেডিকেলের ৪র্থ বর্ষে পড়ছি।
পাত্রের মামা
আচ্ছা মা তাহলে তুমি এখন ভেতরে যেতে পারো,
সাজেদা বেগম নিতুকে ভেতরে নিয়ে যাচ্ছে৷
৫. ভেতর-নিতু বসে আছে খাটের উপরে
সাজেদা
ফেরত।
নিতু
আমি এই ছেলের সাথে বিয়ে করতে পারবো না কোন ভাবেই,আমি
একজন মেডিকেলে পড়া শিক্ষিত মেয়ে, আমি কোন ভাবেই দুবাই
ফেরত ইন্টার অব্দি পড়া ছেলেকে বিয়ে করতে পারবো না
সা
৬- রুম -
সাজেদা
কত বিয়ে আর ভাঙবে বল ,যদি তোর একটা বিয়ে ও ঠিক ভাবে
আসতো, তাহলে মানতাম তোর কথা।
৭.আহমেদঃ
নিতু ভেতরে আসবো?
৮. আহমেদ সাহেবঃ
চিৎকার করে) সাজেদা,জলদি ঘরে এসো।
সাজেদাঃ (ভীত হয়ে) কি হয়েছে তোমার, তুমি এমন করছ কেন?
৯,.আহমেদঃ
আমাদের থানায় ফোন করা দরকার সাজেদা।
১০.সাজেদাঃ
তুমি উত্তেজিত হইও না,পুলিশে জানালে কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে।
১১.আহমেদঃ
না না সাজেদা,আমার মেয়ে এভাবে কোথাও হারায় যেতে
পারেনা চিৎকার করে ছুটে গেলেন)
১২.আহমেদ সাহেবঃ
হ্যালো,এটি কি আদাবর থানা? আমি একটা জিডি করতে চাই।
১৩.সাজেদা- রাশেদ,নিতু কি তোদের ওখানে?
১৪.রাশেদঃ
খালামণি নিতু তো আমাদের বাসায় আসেনি।
১৫সাজেদাঃ
আচ্ছা আজ নিতুর বিয়ে, তুই আসলি না যে?
ফোন কেটে দেয়ার শব্দ।
১৬. আহমেদঃ
পুলিশ এসেছেন বাড়িতে
চেমকে) আমার একমাত্র মেয়ে কাদতে থাকেন)
১৭.পুলিশঃ
চিন্তা করবেন না, তদন্ত হচ্ছে।
১৮.সাজেদাঃ
রাশেদ কোথায় আছে তুই জানিস? ও নিতুর বিয়েতে আসেনাই কেন?
১৯.সাজেদার বোন-
আমি অনেক বার বলার পরেও রাশেদ বিয়ে তে আসে নি আমি জানি না
রাশেদ কোথায় আছে।আর আমাকে কেনো এসব জানতে চাচ্ছিস, রাশেদের
কাছে নিতু নেই।
২০.সাজেদাঃ
না,তোর ছেলের কাছেই আমার মেয়ে নিতু আছে,আমি নিশ্চিত হয়ে
বলতেছি।
২১.সাজেদার বোনঃ
(বিল্ময়ে) এ কি বল আপা!
২২.রাসেদঃ ট্রেন
তুই এখানে বোস।
২৩.নিতুঃ
জলদি এসো ভাইয়া।
২৪. নিতুঃ ট্রেন
এরা কারা ভাইয়া?
কারো মুখে কোন কথা নাই।
২৫. ট্রেনের টিটিঃ
টিকিট চেকিং,কেবিনের দরজাটা খুলুন,আপনাদের টিকিট দেখান।
২৬. ট্রেনের আইন শৃশ্বলা বাহিনীঃ ট্রেন
ভেতরে কে আছেন,দরজা খুলুন (গেটে জোড়ে চাপড় দিয়ে)
ভেতর থেকে সাড়া দিচ্ছেন না কেন? দরজা না খুললে দরজা ভেঙে
ফেলতে বাধ্য হবো, দরজা খুলুন। জোরে ধাকা, ঠাস করে আওয়াজ,
(দরজা খুলে দেখে নিতুর হাত পা বাধা, নিতু বাচার জন্য ছটপট করছে।)
সবাই কে কলার ধরে নিয়ে যাচ্ছে।
২৭.নিতুঃ ট্রেন
ভাইয়াকে ধরে নিয়ে যাবেন না, ওর কোন দোষ নেই,ওকে আমি বিশ্বাস
করেছি,দোষ আমার।
২৮.গুলিশঃ রাস্তা
আপনি তো জানতেন রাশেদ নেশাগ্রস্থ এবং বখাটে,সেটা জেনেও তাকে
বিশ্বাস করলেন কিভাবে? আপনি তো জানতেন রাশেদ সেফ না।
২৯নিতুঃ রাস্তা
আমি ভেবেছিলাম রাশেদ আমার ভাই,ভাইয়া আর যার সাথেই যেমন
করুক কিন্ত আমার সাথে খারাপ কিছু করবে না, আর রাশেদ আমাকে
বলেছিলো সে আমাকে ভালো ভাবে চট্টগ্রাম পৌছে দিবে।
৩০.পুলিশঃ রাস্তা
শুধু বিশ্বাসের জোরে আপনি আপনার মামাতো ভাই এর সাথে বাড়ি
থেকে বের হয়ে গেলেন? নাকি অন্য কিছু?
৩১ নিতু: রাস্তা
হ্যা বিশ্বাসের জোরেই কিন্ত আমার বোঝা উচিত ছিলোএকজন নেশাগ্রস্ত
মানুষ তার মানবতা হারিয়ে ফেলে। একজন নেশাগ্রস্ত মানুষ কারো ভাই হতে পারে না।
• একটি ভালো শুরু
• চরিত্রের পরিপূর্ণ বিকাশ
• চরিত্রগুলো মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্ক
• প্রধান চরিত্র ও বিপরীত চরিত্রের মধ্যে দান্দিক সম্পর্ক
• গল্পের ক্রমান্বয়িক উত্থান
Department of Media Studies and Journalism
University of Liberal Arts Bangladesh
Fall 2020
MID TERM EXAM ASSIGNMENT
Name of the Student: Sifat Nusrat |
---|
ID No.: 181012048 |
Department: MSJ |
Course Code: MSJ11333 |
Course Title: writing for film and television |
Submission Date: 20-01-2021 |
Mid Term Assignment
Assignment Topic: Last Three Steps (out of seven) of Developing a Screenplay
Mark Breakdown and Obtained Marks:
সিরিয়াল নম্বর | Item: Step’s Title | Mark Breakdown for Each Step | Marks Obtained |
---|---|---|---|
Step 5 | Flim Story Treatment (পূর্ণাঙ্গ গল্প-বিন্যাস) | 15 | |
Step 6 | Step Outline (গল্পের দৃশ্যক্রম বর্ণনা ) | - | No Credit |
Step 7 | প্রাথমিক গল্প-বিন্যাস | ৮.৮০ | |
ধাপ-৪ | Master Scene Script (মাস্টার ক্রিপ্ট/চলচ্চিত্র | 20 |
MARKS OBTAINED
TOTAL MARKS 35
Signature of Examiner
পূর্ণাঙ্গ গল্প-বিন্যাস)
পঞ্চম ধাপ- পূর্ণাঙ্গ গল্প বিন্যাস
আহমেদ সাহেব সকালবেলা বারান্দায় আরাম কেদারায় বসে পত্রিকা পড়ছেন,ও দিকে সাজেদা গম রান্না ঘড়ে চা তৈরি করছেন,চায়ে চিনি ঠিক হল কিনা তা দেখে নিচ্ছেন সাজেদা,এবং চা বানানো শেষে সাজেদা বেগম চা নিয়ে বারান্দার দিকে এগুতে থাকেন,আহমেদ সাহেব সাজেদা বেগমের বারান্দার দিকে আসা দেখে সাজেদার দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দিলেন,সাজেদা বেগম চা টা আহমেদ সাহেবের হাতে দিলেন,এবং আহমেদ সাহেব ও সাজেদা বেগম চায়ে চুমুক দিতে দিতে কিছু কথা বলতে শুরু করলেন।চা পান করা শেষে আহমেদ সাহেব বারান্দা থেকে উঠে যাচ্ছেন এবং বসার ঘড়ের বই পএ ঘুছিয়ে রাখছেন।
নিতুন পড়ার টেবিলে বসে পড়ছে, পড়ার টেবিলে এনাটমির বইটার পাতা উল্টে পাল্টে খতে দেখতে হঠাৎ সে কল্পনার জগতে ডুব দেয় আাপ্রন গায়ে রোগীদের সেবা দিচ্ছেন তিনি। হঠাৎ মোবাইলে রিমাইন্ডার বেজে উঠে ১০টা বাজে নিতুর ফটোকপির দোকানে যাওয়ার কথা, নিতু রিমান্ডার পেয়ে ঝটপট করে ফটোকপপির দোকানের দিকে রওনা দিচ্ছে, নিতু হাঁটছে হঠাৎ নিতু খেয়াল করলো, আনন্দ তার বখাটে সাঙ্গ -পাঙ্গ নিয়ে জলন্ত সিগারেট হাতে আড্ডা দিচ্ছে, নিতুকে দেখার সাথে সাথেই তাদের চোখ গুলো তৃষ্ণার্ত কাকের মতো হয়ে যায়, নিতু বুঝতে পারে ওরা নিতুর শরীর নিয়ে বাজে কথা বলছে, নিতু ওসবে কর্ণপাত না করে সামনের দিকে এগিয়ে ফটোকপির দোকানের কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরে যায়,
এখন নিতু বিছানায় শুয়ে গল্পের বই পড়ছে,সাজেদা বেগম হাতে কাঁচা হলুদের বাটি এবং একটা রূপচর্চার বই হাতে নিতুর সামনে এসে দাঁড়ালো, সাজেদা বেগম রূপচর্চার বইটা দেখে মিলিয়ে নিচ্ছে কিভাবে ত্বক ফর্সা করা যায়, এবং নিতুকে উঠে বসতে বললো,সাথে হলুদ মুখে লাগাতে বললো,নিতু বিষয়টিতে খুব বিব্রত বোধ করছে,কারন নিতু তার চেহারা নিয়ে খুশী, নিতু হলুদের বাটি নিয়ে আয়নার সামনে যেয়ে হলুদ মুখে লাগাচ্ছে, এবং সে কল্পনা করছে,গায়ের রং দিয়েই কী মেয়েদের সৌন্দর্যের বিচার হয়? এই কথা চিন্তা করতেই নিতুর চোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পরছে। নিতুকে আজ পাএ পক্ষ দেখতে এসেছে,নিতুকে দেখার পরে পাএপক্ষ একে অপরের দিকে তাকিয়ে চোখাচোখি করলো,নিতুকে দেখা শেষে নিতুর মা নিতুকে ঘড়ে নিয়ে গেলো, নিতু হঠাৎ কল্পনা করলো,এর আগের সব বিয়ে ভেঙে গেছে শুধু নিতু কালো,মোটা বলে,হঠাৎ নিতুর মা নিতুকে বললো পাএ পক্ষ তোকে পছন্দ করেছে নিতুকে এটাও জানানো হলো যে ছেলে দুবাই ফেরত আর মাত্র ইন্টার অব্দি পড়াশোনা করেছেন,এটা শোনার পরে নিতু কোনভাবেই মেনে নিতে পারছে না এই ব্যপারটা ॥ সে কিভাবে একজন মাধ্যমিক পাশ করা ছেলেকে বিয়ে করবে তা সে কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছে না কিন্ত সে এখন কিছুই বাবা মা কে খুলে বলতে পারলোনা।
বিয়ের আয়োজন চলছে মেয়ের বিয়ের পরে শশুর বাড়িতে চলে যাবে,ছোট্ট নিতু দেখতে দেখতে দেখতে কত বড় হয়ে গেছে, এই কথা গুলো ভাবতেই আহমেদ সাহেবের চোখে জল গোরিয়ে পড়ছে,চোখ মুছতে মুছতে তিনি নিতুর ঘড়ের দিকে হাঁটছেন,নিতুর রুমের সামনে যেয়ে দরজায় নক করলেন আহমেদ সাহেব, কোন সাড়া নেই, একটু অপেক্ষা করবার পরে আহমেদ সাহেব দরজাটা হালকা খুলে ভিতরে ডুকে দেখেন ভেতরে কেউ নেই।আহমেদ সাহেব হতভম্ব হয়ে চারিদিকে তাকাচ্ছেন হঠাৎ চোখ আটকে গেলো নিতুর ডেসিনটেবিলের দিকে,তিনি দেখতে পাচ্ছে ডেনিসটেবিলের উপর একটা খোলা ডায়রি চিৎকার করে সাজেদা কে ডাকছে এবং আহমেদ সাহেব মেঝেতে বসে পরলো।
নিতুর মায়ের আপত্তি সম্বেও আহমেদ সাহেব থানায় ফোন করছে, অফিসারকে সবকিছু খুলে বলছেন।এদিকে নিতুর মা আন্দাজ করতে পারছে নিতু এখন কোথায় থাকতে পারে,নিতুর মা নিতুর খালাতো ভাই রাশেদের কাছে ফোন দিলেন এবং রাশেদ উপর পাশ থেকে বলে উঠলেন খালামনি নিতু তো আমাদের বাসায় আসেনি,প্রতি উওরে নিতুর মা বলছেন আজ নিতুর বিয়ে অথচ তুই আসলি না ? রাশেদ কিছু না বলেই ফোনটা কেটে দিলো।নিতুর মায়ের আরো সন্দেহ হলেন,কাওকে কিছু না বলেই তিনি বাহিরে বের হতেই দেখেন পুলিশ গেইটের সামনে দাঁড়িয়ে। আহমেদ সাহেব নিতুর ঘরে সেলফে রাখা নিতুর ট্রফিগুলো ছুঁয়ে দেখছেন,পেছন থেকে পুলিশ এসে আহমেদ সাহেবের কাঁধে হাত রাখছেন,আহমেদ সাহেব চমকে উঠে পিছেন তাকাচ্ছেন, তাকাতেই দেখেন পুলিশ, সব শোনার পরে পুলিশ চলে যাচ্ছেন।আহমেদ সাহেব দেখছেন সবার চোখে জল কিন্তু সাজেদার চোখে ছাড়া,এবং সাজেদা বেলকনির ধারে যেয়ে তার বোনের সাথে উদ্ধিগ্ন হয়ে কথা বলছে, দুজনকেই খুব উত্তেজিত দেখাচ্ছে।
ট্রেনের জন্য নিতু রাশেদ অপেক্ষা করছে,কিছুখন পরে ট্রেন আসলো,ট্রেন থামতেই রাশেদ নিতুকে নিয়ে ট্রেনে উঠল, নিতুকে একটা কেবিনে বসিয়ে রাশেদ বাইরে চলে আসছে।বেশ কিছুক্ষণ আগে ট্রেন ছেড়েছে কিন্ত রাশেদ আসছে না,এটা নিতু ভাবতে ভাবতেই রাশেদ ৫- ৬ জন ছেলে সহ কেবিনে প্রবেশ করছে,এসেই নিতু কিছু না বুঝতেই দুই পাশ থেকে দুইজন নিতুকে ঝাপটে ধরলো ছেলে গুলো।ঠিক তখনই কেবিনের দরজা নক করছে টিটি,ছেলেগুলো ঘাবরে গেলো,দরজা না খোলায়, ট্রেনের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হলো,এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এসে দড়জা ধাকা দিয়ে ভেতরে ডুকতেই দেখতে পেলো নিতুর হাত পা বাধা। পুলিশ ছেলো গুলো সহ রাশেদ কেও ধরে নিয়ে যাচ্ছে, নিতু তখন চিৎকার করে বলতে থাকেন রাশেদ ভাই কে নিবেন না,ওর কোন দোষ নেই আমি ওকে বিশ্বাস করেছি,এটা আমার দোষ, এই বলেই নিতুর দুই চোখ বেয়ে অশ্রু ধরতে লাগলো। ট্রেনের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সামনের একটা স্টপেজে ট্রেন থামলে নিতুকে অখনের পুলিশের হাতে তুলে দিচ্ছে নিতু পুলিশের সাথে যেতে চাচ্ছিল না, কারন নিতু এখন আর কাওকেই বিশ্বাস করতে পারছে না। কিছুখন পরে নিতু গাড়িতে উঠে বসলো,এবং গাড়ি চলতে শুরু করলো হটাৎ একজন পুলিশ নিতুর কাছে জানতে চাইলো রাশেদ যে নেশাগ্রস্ত এবং বখাটে সেটা জেনেও তাকে কেনো বিশ্বাস করলেন? আপনি তো জানতেন রাশেদ আপনার জন্য সেত না। নিতু কিছুক্ষণ মাথা নিচু করে চুপ থেকে উওরে বললো, আমি ভেবেছিলাম রাশেদ আমার ভাই,ভাইয়া আর যার সাথেই যেমন করুক কিন্ত আমার সাথে খারাপ কিছু করবে না, আর রাশেদ আমাকে বলেছিলো সে আমাকে ভালো ভাবে চট্টগ্রাম পৌছে দিবে।পুলিশ অফিসার বলে উঠলো শুধু বিশ্বাসের জোরে আপনি আপনার মামাতো ভাই এর সাথে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলেন? নাকি অন্য কিছু? আবারও নিতু বলে উঠলো হ্যা বিশ্বাসের জোরেই কিন্ত আমার বোঝা উচিত ছিলোএকজন নেশাগ্রস্ত মানুষ তার মানবতা হারিয়ে ফেলে। একজন নেশাগ্রস্ত মানুষ কারো ভাই হতে পারে না।
ষষ্ঠ ধাপ- গল্পের দৃশ্যক্রম বর্ণন
1.আহমেদ সাহেব বারান্দায় আরাম কেদারায় বসে পণ্রিকা পড়ছেন,ও দিকে সাজেদা বেগম রান্না ঘড়ে চা তৈরি করছেন,চায়ে চিনি ঠিক হল কিনা তা দেখে নিচ্ছেন সাজেদা,এবং চা বানানো শেষে সাজেদা বেগম ১-চা নিয়ে বারান্দার দিকে এগুতে থাকেন,আহমেদ সাহেব সাজেদা বেগমের বারান্দার দিকে আসা দেখে সাজেদার দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দিলেন,সাজেদা বেগম চা টা আহমেদ সাহেবের হাতে দিলেন,এবং আহমেদ সাহেব ও সাজেদা বেগম চায়ে চুমুক দিতে দিতে কিছু খন দুজনে কিছু কথা বলতে শুরু করলেন।চা পান করা শেষে আহমেদ সাহেব সাহেব বারান্দা থেকে উঠে গেলেন এবং বসার ঘড়ের সব বই পত্র ঘুছিয়ে রাখছেন।
2.নিতুন পড়ার টেবিলে বসে পড়ছে, মেধা সাক্ষর রেখে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি হয়েছে,পড়ার টেবিলে এনাটমির বইটার পাতা উল্টে পাল্টে দেখতে দেখতে হঠাৎ সে কল্পনার জগতে ডুব দেয় আপ্রাণ গায়ে রোগীদের সেবা দিচ্ছেন তিনি। হঠাৎ মোবাইলে রিমাইন্ডার বেজে উঠে ১০ বাজে নিতুর ফটোকপির দোকানে যাওয়ার কথা, নিতু রিমান্ডার পেয়ে ঝটপট করে ফটোকপির দোকানের দিকে রওনা দিচ্ছে, নিতু হাঁটছে হঠাৎ নিতু খেয়াল করলো, আনন্দ তার বখাটে সাঙ্গ -পাঙ্গ নিয়ে জলন্ত সিগারেট হাতে আড্ডা দিচ্ছে, নিতুকে দেখার সাথে সাথেই তাদের চোখ গুলো তৃষ্ণার্ত কাকের মতো হয়ে যায়, নিতু বুঝতে পারে ওরা নিতুর শরীর নিয়ে বাজে কথা বলছে, নিতু ওসবে কর্ণপাত না করে সামনের দিকে এগিয়ে ফটোকপির দোকানের কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরে যায়।
3.এখন নিতু বিছানায় শুয়ে গল্পের বই পড়ছে,সাজেদা বেগম হাতে কাঁচা হলুদের বাটি এবং একটা রূপচর্চার বই হাতে নিতুর সামনে এসে দাঁড়ালো, সাজেদা বেগম রূপচর্চার বইটা দেখে মিলিয়ে নিচ্ছে কিভাবে ত্বক ফর্সা করা যায়, এবং নিতুকে উঠে বসতে বললো,সাথে হলুদ মুখে লাগাতে বললো, নিতু বিষয়টিতে খুব বিব্রত বোধ করছে,কারন নিতু তার চেহারা নিয়ে খুশী, নিতু হলুদের বাটি নিয়ে আয়নার সামনে যেয়ে হলুদ মুখে লাগাচ্ছে, এবং সে কল্পনা করছে,গায়ের রং দিয়েই কী মেয়েদের সৌন্দর্যের বিচার হয়? এই কথা চিন্তা করতেই নিতুর চোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পরছে।
৪.নিতুকে আজ পাএ পক্ষ দেখতে এসেছে,নিতুকে দেখার পরে পাএপক্ষ একে অপরের দিকে তাকিয়ে চোখাচোখি করলো,নিতুকে দেখা শেষে নিতুর মা নিতুকে ঘড়ে নিয়ে গেলো, নিতু ঘড়ে বসে কল্পনা করলো,এর আগের সব বিয়ে ভেঙে গেছে শুধু নিতু কালো,মোটা বলে,হঠাৎ নিতুর মা নিতুকে বললো পাত্র পক্ষ তোকে পছন্দ করেছে নিতুকে এটাও জানানো হলো যে ছেলে দুবাই ফেরত আর মাত্র ইন্টার অব্দি পড়াশোনা করেছেন,এটা শোনার পরে নিতু কোনভাবেই মেনে নিতে পারছে না এই ব্যপারটা | সে কিভাবে একজন মাধ্যমিক পাশ করা ছেলেকে বিয়ে করবে তা সে কোন ভাবেই এটা মেনে নিতে পারছে না কিন্ত সে এখন কিছুই বাবা মা কে খুলে বলতে পারলোনা।
৫.বিয়ের আয়োজন চলছে মেয়ের বিয়ে শশুর বাড়িতে চলে যাবে,ছোট্ট নিতু দেখতে দেখতে দেখতে কত বড়ো হয়ে গেছে, এই কথা গুলো ভাবতেই আহমেদ সাহেবের চোখে জল গোরিয়ে পড়ছে,চোখ মুছতে মুছতে তিনি নিতুর ঘড়ের দিকে হাঁটছেন,নিতুর রুমের সামনে যেয়ে দরজায় নক করলেন আহমেদ সাহেব,কোন সাড়া নেই, একটু অপেক্ষা করবার পরে আহমেদ সাহেব দরজাটা হালকা খুলে ভিতরে ডুকে দেখেন ভেতরে কেউ নেই আহমেদ সাহেব হততম্ব হয়ে চারিদিকে তাকাচ্ছেন হঠাৎ চোখ আটকে গেলো নিতুর ডেসিনটেবিলের দিকে,তিনি দেখতে পাচ্ছে ডেনিসটেবিলের উপর একটা খোলা ডায়রি পরে আছে,ডাইরিটা হাতে নিয়ে আহমেদ সাহেব পড়ছে,ডাইরিটা পড়ার পড়ে আহমেদ সাহেব জোরে চিৎকার করে সাজেদা কে ডাকছে এবং আহমেদ সাহেব মেঝেতে বসে পরলো।
৬.নিতুর মায়ের আপত্তি সত্বেও আহমেদ সাহেব খানায় ফোন করছে, অফিসারকে সবকিছু খুলে বলছেন।এদিকে নিতুর মা আন্দাজ করতে পারছে নিতু এখন কোথায় থাকতে পারে,নিতুর মা নিতুর খালাতো ভাই রাশেদের কাছে ফোন দিলেন এবং রাশেদ উপর পাশ থেকে বলে উঠলেন খালামনি নিতু তো আমাদের বাসায় আসেনি,প্রতি উওরে নিতুর মা বলছেন আজ নিতুর বিয়ে অথচ তুই আসলি না যে? রাশেদ কিছু না বলেই ফোনটা কেটে দিলো,নিতুর মায়ের আরো সন্দেহ হলেন,কাওকে কিছু না বলেই তিনি বাহিরে বের হতেই দেখেন পুলিশ গেইটের সামনে দাঁড়িয়ে।
৭.আহমেদ সাহেব নিতুর ঘরে সেলফে রাখা নিতুর ট্রফিগুলো ছুঁয়ে দেখছেন,পেছন থেকে পুলিশ এসে আহমেদ সাহেবের কাঁধে হাত রাখছেন,আহমেদ সাহেব চমকে উঠে পিছেন তাকাচ্ছেন, তাকাতেই দেখেন পুলিশ, সব শোনার পরে পুলিশ চলে যাচ্ছেন। আহমেদ সাহেব দেখছেন সবার চোখে জল কিন্ত সাজেদার চোখে ছাড়া,এবং সাজেদা বেলকনির ধারে যেয়ে তার বোনের সাথে উদ্বিগ্ন হয়ে কথা বলছে,দুজনকেই খুব উত্তেজিত দেখাচ্ছে।
৮.ট্রেনের জন্য নিতু রাশেদ অপেক্ষা করছে,কিছুখন পরে ট্রেন আসলো,ট্রেন থামতেই রাশেদ নিতুকে নিয়ে ট্রেনে উঠল, নিতুকে একটা কেবিনে বসিয়ে রাশেদ বাইরে চলে আসছে।বেশ কিছু খন আগে ট্রেন ছেড়েছে কিন্ত রাশেদ আসছে না,এটা নিতু ভাবতে ভাবতেই রাশেদ ৫- ৬ জন ছেলে সহ কেবিনে প্রবেশ করছে,এসেই নিতু কিছু না বুঝতেই দুই পাশ থেকে দুইজন নিতুকে ঝাপটে ধরলো ছেলে গুলো। ঠিক তখনই কেবিনের দরজা নক করছে টিটি,ছেলেগুলো ঘাবরে গেলো,দরজা না খোলায়, ট্রেনের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হলো,এবং আইন শৃঙ্ালা বাহিনী এসে দড়জা ধাক্কা দিয়ে ভেতরে ডুকতেই দেখতে পেলো নিতুর হাত পা বাধা।
ু
৯.পুলিশ ছেলো গুলো সহ রাশেদ কেও ধরে নিয়ে যাচ্ছে, নিতু তখন চিৎকার করে বলতে থাকেন রাশেদ ভাই কে নিবেন না, ওর কোন দোষ নেই আমি ওকে বিশ্বাস করেছি, এটা আমার দোষ, এই বলেই নিতুর দুই চোখ বেয়ে অশ্রু ধরতে লাগলো।ট্রেনের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সামনের একটা স্টপেজে ট্রেন থামলে নিতুকে অখানের পুলিশের হাতে তুলে দিচ্ছে।.নিতু পুলিশের সাথে যেতে চাচ্ছে না প্রথমে, কিছুখন পরে নিতু গাড়িতে উঠে বসলো, এবং গাড়ি চলতে শুরু করলো।
১০.হটাৎ একজন পুলিশ নিতুর কাছে জানতে চাইলো রাশেদ যে নেশাগ্রস্ত এবং বখাটে সেটা জেনেও তাকে কেনো বিশ্বাস করলেন? আপনি তো জানতেন রাশেদ আপনার জন্য সেভ না।নিতু কিছু খন মাথা নিচু করে চুপ থেকে উওরে বললো, আমি ভেবেছিলাম রাশেদ আমার ভাই,ভাইয়া আর যার সাথেই যেমন করুক কিন্ত আমার সাথে খারাপ কিছু করবে না,আর রাশেদ আমাকে বলেছিলো সে আমাকে ভালো ভাবে চট্টগ্রাম পৌছে দিবে।পুলিশ অফিসার বলে উঠলো শুধু বিশ্বাসের জোরে আপনি আপনার মামাতো ভাই এর সাথে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলেন? নাকি অন্য কিছু? আবারও নিতু বলে উঠলো হ্যা বিশ্বাসের জোরেই। কিন্ত আমার বোঝা উচিত ছিলোএকজন নেশাগ্রস্ত মানুষ তার মানবতা হারিয়ে ফেলে। একজন নেশাগ্রস্ত মানুষ কারো ভাই হতে পারে না।
সপ্তম ধাপ- মাস্টার সিন স্ক্রিপ্ট বা চলচ্চিত্র চিএ্যনাট্য
ফেইড ইন
১.ভেতর-বাসার বারান্দা- সকাল
চায়ের অপেক্ষা করছেন পত্রিকা থেকে মুখ না তুলেই তিনি তার স্ত্রীকে উদ্যেশ্য করে চেচালেন-
আহমেদ
বারান্দায় বসে পত্রিকা পড়ছেন।
আহমেদ -কি গো হলোঃ (অফ স্কিন)
আসছি, আসছি!
-আজকে চা পাওয়া যাবে নাকি চায়ের জন্য উপোষ করতে হবে?
চা হাতে সাজেদা বেগমের
এই নাও তোমার চা
আহমেদ (চলবে, অন স্ক্রিন)
ছেলেপক্ষ জানালো ওরা সামনে শুক্রবার নিতুকে দেখতে আসছে। নিতুকে প্রস্তুত থাকতে বলো।
সাজেদা - (চেয়ারে বসতে বসতে)
ওমা তাই। তাহলে তো সবকিছু রেডি করতে হবে।
আহমেদ
হ্যা, দেখ যা প্রস্তুতি নেয়া লাগে নাও।
[প্রেসার কুকারের শব্দে সাজেদার প্রস্থান]
২. ঘরের ভেতরে- নিতুর ঘর। এনাটমি বইয়ের পাতা উল্টাচ্ছে। এপ্রন পরে রুগি দেখার দৃশ্য কল্পনায় দিন
মোবাইলের রিমাইন্ডার বেজে উঠে ক্রি ক্রিং
নিতু
ওহ,শিট দশটা বাজে---
ঝটপট করে রেডি হয় ফটোকপির দোকানে যাওয়ার জন্য নিতু হেটে যাচ্ছে। আনন্দ তার সাংগ পাংগ
নিয়ে নিতুর দিকে তাকায়,
আনন্দ
দেখেছিস আজ মনে হয় খুব তারা আছে।
সাংগ পাংগ-
যা বলেছো গুরু
[বলেই সবাই হাসতে থাকে। নিতু চুপ চাপ ফটোকপির দোকানের দিকে এগিয়ে যায়।]
নিতুর ঘর-দুপুর
৩.ভেতর-নিতুর রুম নিতু আধোশোয়া হয়ে গল্পের বই পড়ছে, দড়জায় নক সাজেদা বেগমের রুমে
প্রবেশ।]
সাজেদা (অন স্কিন)
নিতু আগামী শুক্রবার ছেলেপক্ষ তোকে দেখতে আসছে। এই কাঁচা হলুদ গুলো
মুখে লাগাও। এই কয়দিন তোমাকে রুপচর্চা এর উপরে থাকতে হবে,যাতে ছেলে
পক্ষ পছন্দ করে।
নিতু
মা তুমি না পাড়ও বটে। আমি যেমন আছি তেমনি আমার ভালো লাগে, এটা
তোমার বোঝা উচিৎ।
সাজেদা
আচ্ছা রেখে গেলাম। মন চাইলে লাগিয়ে নিস।
[নিতু অনেকটা বিব্রত। তার পড়েও আয়নার সামনে বসে হলুদ লাগাচ্ছে। মনে মনে নিজের সাথে কথা বলছে,
শুধু ফর্সা হবার জন্য এত কিছু?
গায়ের রঙ দিয়েই কি সুন্দর্য বিচার হয়? (কল্পনা)
৪.ভেতর-শুব্রবার-ডুইং রুম-বিকেল বেলা
পাত্রপক্ষ ডাইনিং রুমে বসে অপেক্ষা করছেন সাজেদা বেগম নিতুকে নিয়ে আসছে
নিতু
আল্লামু আলাইকুম
পাত্রের মামা
বসো মা বসো, তোমার নামটা যেনো কি?
নিতু
চানিন ভাই সাহেব
পাত্রের মামা
আচ্ছা মা তোমার পড়াশোনা কত দুর?
নিতু
আমি ঢাকা মেডিকেলের ৪র্থ বর্ষে পড়ছি।
ছেলের বোন বড়ো বড়ো চোখ করে মামার দিকে ত কিয়ে একঢাহাসাদলো
পারের মামা
আচ্ছা মা তাহলে তুমি এখন ভেতরে যেতে পারো
সাজেদা বেগম নিতুকে ভেতরে নিয়ে যাচ্ছে।
৫. ভেতর-নিতু ঘড়ে নিতুবসে আছে খাটের উপরে -রাতের বেলা।
সাজেদা
তোকে ছেলে পক্ষদের খুব পছন্দ হয়েছে, ছেলে ইন্টার পাশ দুবাই ফেরত।
নিতু
আমি এই ছেলের সাথে বিয়ে করতে পারবো না কোন ভাবেই, আমি একজন
পড়া ছেলেকে বিয়ে করতে পারবো না
সাজেদা
কত বিয়ে আর ভাঙবে বল 'যদি তোর একটা বিয়ে ও ঠিক ভাবে আসতো,
তাহলে মানতাম তোর কথা।
৬. ভেতর বাসার বারান্দা-রাত নিতু যে বিয়ে করতে চাই না,সেটা তার মা এর কথা গুলো শোনার পরে আর কিছু বলার সাহস পেলো না, এর মধ্যে বিয়ের আয়োজন শুরু হয়ে গেছে,বিয়ের সাজে ঝলমল করা বারান্দা থেকে আহমেদ সাহেব নিতুর রুমের দিকে যাচ্ছেন।
আহমেদ
নিতু ভেতরে আসবো?
ভেতরে কোন সাড়া শব্দ নাই,অনেক খন দাড়িয়ে থাকার পরে, দরজা ধাক্কা দিয়ে নিতুর ঘড়ে ডুকলো, এবং ঘড়ে ডুকেই দেখলেন কেউ নাই, খুব অবাক হয়ে পুরো রুম খুঁজলেন নিতুকে, কোথাও না পেয়ে, হঠাৎ চোখ চলে গেলো ড্রেসিন টেবিলের উপর, যেখানে একটা ডায়রি পরে থাকতে দেখা যাচ্ছে, আহমেদ সাহেব ডায়রিটি হাতে নিলো,এবং ভায়রিটা পড়তে শুরু করলেন।আহমেদ সাহেবের হাতে ডায়েরিটি পড়েই মেঝেতে বসে পরলেন (শন্দ করে পরে গেল)
আহমেদ
(চিৎকার করে) সাজেদা,জলদি ঘরে এসো।
সাজেদা
(ভীত হয়ে) কি হয়েছে তোমার, তুমি এমন করছ কেন?
আহমেদ
আমাদের থানায় ফোন করা দরকার সাজেদা।
সাজেদাকে সব খুলে বলছে আহমেদ সাহেব
সাজেদা
তুমি উত্তেজিত হইও না,পুলিশে জানালে কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে।
আহমেদ
না না সাজেদা, আমার মেয়ে এভাবে কোথাও হারায় যেতে পারেনা (চিৎকার করে ছুটে গেলেন)
আহমেদ সাহেব ছুটে টেলিফোনের দিকে গেলেন।
আহমেদ
হ্যালো, এটি কি আদাবর থানা? আমি একটা জিডি করতে চাই।
সাজেদা বেগম খুব সন্দেহ সন্দেহ মনে রাশেদকে ফোন করলেন।
সাজেদা
নিতু কি তোদের ওখানেঃ
রাশেদ
খালামনি নিতু তো আমাদের বাসায় আসেনি
সাজেদা
আচ্ছা আজ নিতুর বিয়ে,তুই আসলি না যে?
(ফোন কেটে দেয়ার শব্দ)
৭. ভেতর-আহমেদ সাহেবের বাসা-সন্ধ্যা
পুলিশ এসেছেন বাড়িতে।
পুলিশ আহমেদ সাহেবের কাধে হাত রাখলেন।
আহমেদ
চেমকে) আমার একমাত্র মেয়ে. কাদতে থাকেন)
পুলিশ
চিন্তা করবেন না, তদন্ত হচ্ছে।
বারান্দায় আবছা অন্ধকারে সাজেদা তার বোনকে তার সন্দেহের বিষয়ে যানায়।
সাজেদা
রাশেদ কোথায় আছে তুই জা
নিস? ও নিতুর বিয়েতে আসেনাই কেন?
সাজেদার বোন
আমি অনেক বার বলার পরেও রাশেদ বিয়ে তে আসে নি আমি জানি না
রাশেদ কোথায় আছে।আর আমার কাছে কেনো এসব জানতে চাচ্ছিস, রাশেদের কাছে নিতু নেই।
সাজেদা
না,তোর ছেলের কাছেই আমার মেয়ে নিতু আছে,আমি নিশ্চিত হয়ে বলতেছি।
সাজেদার বোন
(বিস্ময়ে) এ কি বল আপা!
৮. ভেতর-ট্রেন স্টেষন,ভোর রাত ট্রেন এসে পরায় রাসেদ নিতুকে ট্রেনে উঠিয়ে কেবিনে নিয়ে গেল।
রাশেদ
তুই এখানে বোস আমি একটু আসছি।
নিতু
জলদি এসো ভাইয়া।
ট্রেনের কামরায় কিছু ছেলে সহ রাশেদের প্রবেশ।
নিতু
এরা কারা ভাইয়া?
কারো মুখে কোন কথা নাই। সবাই শুধু হাসছে একে অপরকে দেখে।
ট্রেনের টিটি (টিকিট চেকিং)
কেবিনের দরজাটা খুলুন, আপনাদের টিকিট দেখান।
ভেতরে কে আছেন, দরজা খুলুন (গেটে জোড়ে চাপড় দিয়ে)ভেতর থেকে সাড়া
দিচ্ছেন না কেন, দরজা না খুললে দরজা ভেঙে ফেলতে বাধ্য হবো,দরজা
খুলুন।জোরে ধাক্কা, ঠাস করে আওয়াজ,
দেরজা খুলে দেখে নিতুর হাত পা বাধা, নিতু বাচার জন্য ছটপট করছে।) সবাই কে কলার ধরে নিয়ে
যাচ্ছে।
নিতু
ভাইয়াকে ধরে নিয়ে যাবেন না, ওর কোন দোষ নেই, ওকে আমি বিশ্বাস
করেছি, দোষ আমার।
৯.বাহির-রাস্তা- সকাল (বেলা ১০.৩০ মিনিট)
পুলিশের গাড়িতে বসে আছে নিতু, বাসার দিকে যাচ্ছে গাড়ি।
পুলিশ
আপনি তো জানতেন রাশেদ নেশাগ্রস্থ এবং বখাটে,সেটা জেনেও তাকে
বিশ্বাস করলেন কিভাবে? আপনি তো জানতেন রাশেদ সেফ না।
নিতু
আমি ভেবেছিলাম রাশেদ আমার ভাই,ভাইয়া আর যার সাথেই যেমন
করুক কিন্তু আমার সাথে খারাপ কিছু করবে না, আর রাশেদ আমাকে
বলেছিলো সে আমাকে ভালো ভাবে চট্টগ্রাম পৌছে দিবে।
পুলিশ
শুধু বিশ্বাসের জোরে আপনি আপনার মামাতো ভাই এর সাথে বাড়ি
থেকে বের হয়ে গেলেন? নাকি অন্য কিছু?
নিতু
হ্যা বিশ্বাসের জোরেই, কিন্ত আমার বোঝা উচিত ছিলোএকজন নেশাগ্রস্ত মানুষ তার মানবতা হারিয়ে ফেলে। একজন নেশাগ্রস্ত মানুষ কারো ভাই হতে পারে না।
ফেইড আউট
Learning and Outcome (Self-Reflection) :
I now have a solid understanding of the three-act structure of a screenplay, which is an essential component of scriptwriting, thanks to this course. This knowledge has helped me improve my ability to write a script properly, including how to generate likable characters, interesting plots, and script structure. I have also developed my writing skills, which is a significant ability in many different professions, including cinema, television, and advertising. Overall, my learning experience has given me valuable scriptwriting abilities and knowledge that I can use for my personal and professional growth in the creative professions, among other areas of my life.